উপন্যাস ‘দ্য ডিসকমফোর্ট অব ইভিনিং’। বইটি লিখে বুকারজয় করেন মেরিকে লুকাস রিজনভেল্ড। তিনি প্রথম ডাচ ঔপন্যাসিক হিসেবে ২০২০ সালে এ অনন্য সম্মান অর্জন করেন। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। ডাচ ভাষার উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল হাচিসন। দ্য ডিসকমফোর্ট অব ইভিনিং উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি। সে সময়ই উপন্যাসটি জনপ্রিয় হয়। গ্রন্থটি বেস্টসেলার হিসেবে স্থান পায়। উপন্যাসটি লেখিকার আত্মজীবনী হিসেবেও স্বীকৃত।
তিনি নিজে অবশ্য বলেছেন, এটা তার অসম্পূর্ণ অটোবায়োগ্রাফি। মেরিকে লুকাস রিজনভেল্ডের বয়স যখন তিন বছর তখন তার ১২ বছর বয়সী ভাই একটি দুর্ঘটনায় মারা যায়। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জসের মতোই জীবন মেরিকে লুকাস রিজনভেল্ডের। তিনি জন্ম নিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের এক খ্রিস্টান পরিবারে। তাদের বাড়িতে ছিল একটি ডেইরি ফার্ম। সেই ফার্মে এখনো কাজ করছেন লেখক। বইটির কাহিনি শুরু হয় দশ বছরের বালিকা জসের গল্প দিয়ে। তার ভাই ম্যাথিস একদিন আইসস্কেটিংয়ে যায়। কিন্তু জসকে না নিয়ে যাওয়ায় প্রচ- ক্ষেপে যায় জস। রাগে ক্ষোভে ভাইকে অভিশাপ দেয়। একপর্যায়ে সেই অভিশাপ সত্যি হয়। ম্যাথিস মারা যায়। এ ঘটনায় জসের বাবা-মা পঙ্গু হয়ে যায়। জসের বেড়ে ওঠা খ্রিস্টান কৃষক পরিবারে। ভাইকে হারানোর পর সে ও তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। বিমর্ষ জস বড় হতে থাকে এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে। ‘দ্য ডিসকমফোর্ট অব ইভিনিং’ উপন্যাসটি আবর্তিত হয় জসের বিষাদ ও মানসিক টানাপোড়েনকে ঘিরেই।