গত রাতের স্নিগ্ধ আলিঙ্গনে আমি ভেসে যাচ্ছি
পরিযায়ী পাখিদের উড়ন্ত ডানায়;
পৃথিবীকে আজ অনেক বেশি সুন্দর
আর আশ্চর্য আলোকের ঝর্ণাধারায় স্নানরত রমণীর
স্তনের বিভার মতো দ্যুতিময় লাগছে!
স্পর্শের অনুভবের মধ্যে অবিরাম খেলা করছে
হালকা হাওয়ার সব নীলাভ পেখম।
কাশফুলের আলতো ছোঁয়ায় খুলে যাচ্ছে
অধরের অপার মহিমা।
কেশবতী কন্যার এলোকেশের মতো তোমার শরীরের
সাজানো বাগানে ফুটে উঠছে মাধবীলতার সব স্নিগ্ধ অনুরাগ।
পল্লবর্গীয় ধ্বনির পঞ্চম বর্ণের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে
স্বরবর্ণের প্রথম অক্ষর।
বর্ণ নিয়ে হাতুড়ি ও বাটালির কৌশলে খেলা করছে
পঞ্চাননের গাঢ় চশমার ভেতর থেকে বিচ্ছুরিত আলো।
তোমার স্পর্শের সুধা গলে পড়ছে অক্ষরের প্রতিটি মজ্জায়।
তুমি টের পাচ্ছো, হে আমার হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া ধ্বনির সম্ভ্রম?
তুমি টের পাচ্ছো, হৃৎপিণ্ডের অস্বাভাবিক ওঠানামা
আর তার অপরূপ খেলা?
আমি আজীবন তোমাকে অবিচ্ছিন্ন রক্তমাংসের প্রতিমা বানাবো;
আমাকে তুমি তোমার অন্তর্গত জগতের অধীশ্বর করো।
পবিত্র আত্মার মাঝে খুঁজে পাওয়া হে আমার সুপ্ত গুপ্তধন;
তুমি আমাকে তোমার আদর্শলিপি থেকে কিছুতেই সরিয়ে দিও না!