বই বিলানো তার নেশা। চান জ্ঞানের আলোয় আলোকিত একটি জগৎ। স্বপ্ন আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর পাঠাগার করার। শুরুতে মানুষের দ্বারে দ্বারে একা বই বিলালেও এখন তার অসংখ্য সঙ্গী-সাথী মিলেছে। সমাজের মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়াই এই ফেরিওয়ালার উদ্দেশ্য। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসার এই মহান দায়িত্ব নিয়েছেন জামালপুর সরিষাবাড়ীর শেখ মুহাম্মদ আতিফ আসাদ। আসাদের বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাসড়া মাজালিয়া গ্রামে। এবার ভর্তি হয়েছেন অনার্স প্রথম বর্ষে জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে। অথচ এক সময় খুব কষ্ট করতে হয়েছে। পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো না হওয়ায় টাকার অভাবে ঠিকভাবে স্কুলে যেতে পারতেন না। তাদের এমন অবস্থা ছিল যে, শুধু পড়ালেখা করে জীবন চালানো তার জন্য ছিল না। পড়ালেখার পাশাপাশি কোনো একটা কাজ তাকে করতেই হতো। চিন্তা করলেন একটা পাঠাগার করবেন। তার তেমন সামর্থ্য ছিল না যে টাকা দিয়ে অন্য কোথাও পাঠাগার করবেন। শুরু করেন নিজের বাড়িতেই। ভাই মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের নামেই দেন মিলন স্মৃতি পাঠাগার। প্রথমে বারান্দায় পাটশোলা দিয়ে একটা ছোট রুম করেন। ২০টা বই দিয়ে সেখান থেকেই শুরু করেন তার এই পাঠাগার। তিনি বিশ্বাস করতেন, এটি ভালো কাজ যেহেতু, অবশ্যই বই দিয়ে সবাই সহযোগিতা করবে এবং তার চিন্তানুযায়ী আস্তে আস্তে বই আসা শুরু করে। বই রাখার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। বাড়িতে যে পুরনো কাঠ বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল, তা দিয়েই কোনো রকমে একটা শেল্ফ দাঁড় করান বইয়ের জন্য। একদা তার সামনে চলে আসে বিশাল একটি সুযোগ। তার এই অসাধারণ কাজের কথা জানানোর সুযোগ পান গ্যাসটন ব্যাটারিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এইচ মালেককে। তিনি আসাদের এই মহতী উদ্যোগের কথা শুনে এগিয়ে আসেন, বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। তিনি প্রথমেই বাংলা সাহিত্যেরর সেরা ১০০ বই দেন। এভাবে আস্তে আস্তে সবাই বই দিতে থাকলে ৫০০ বই হয়ে যায়। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কোনো এক মাধ্যমে এই খবর জেনে বই কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা পাঠালেন। যেহেতু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল, সেহেতু সবার টাকা দিয়ে বই কেনার সামর্থ্য নেই। যেখানে লেখাপড়ার খরচই জোগাতে পারে না অনেকে। আর বই পড়া বা এর উপকার সম্পর্কে তাদের ধারণাও নেই। আসাদ প্রতি সপ্তাহে কলেজ থেকে ফিরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বই দিয়ে আসেন। পরের সপ্তাহে আবার সেই বই ফিরিয়ে আনেন, দিয়ে আসেন নতুন বই। কেউ ১০-১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও ফোন করলে সাইকেল দিয়ে বাড়িতে গিয়ে বই দিয়ে আসেন আসাদ। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন আসাদ। হয়ে উঠেছেন অনেকের অনুপ্রেরণীয়। একজন আসাদের মতো করে প্রতিটি গ্রামে এমন উদ্যোগ গড়ে উঠলে সত্যি একদিন বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াবে উন্নত বিশ্বের দরবারে।
শিরোনাম
- ঢামেক হাসপাতালে কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদির মৃত্যু
- নির্বাচন : প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ ও বাস্তবতা
- ফের ৬ উইকেট নিয়ে কিংবদন্তিদের পাশে ভনের ছেলে
- রপ্তানিতে ঋণ খরচ কমাতে সুদহারে প্রণোদনা দরকার
- শুল্ক অনিশ্চয়তায় আতঙ্কে ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক
- স্পেনে তীব্র দাবদাহ, দুই মাসে ১১৮০ জনের প্রাণহানি
- ট্রেবলজয়ী কোচ এখন রোনালদোদের গুরু
- সিদ্ধার্থ–কিয়ারার ঘরে এলো কন্যাসন্তান
- নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর
- চান্দিনার সাবেক মেয়র গ্রেফতার
- ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু, ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার মরদেহ
- বনানীতে পথশিশু ধর্ষণ : মূল অভিযুক্ত পরিবহন হেলপার গ্রেফতার
- দুর্যোগের সময় ভুল তথ্য ঠেকাতে টিকটকের নতুন টুল
- মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা
- দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার
- ৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
- সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
- দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
- চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
- ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪