পদুয়ার বাজার। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই মাছের হাটটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। এটি বৃহত্তর কুমিল্লার মাছের বড় হাট বলে দাবি মাছ ব্যবসায়ীদের। কুমিল্লা নগরীর এই হাটের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে নানা জাতের মাছের মেলা বসে। রবি ও বৃহস্পতিবার বসে হাট। এখানে দেশি কই, টাকি, শোল, টেংরা, চাষের রুই, কাতলা, মৃগেল, সমুদ্রের চাপিলা, লইট্যা, সুরমা, কোরাল, টুনা মাছও মিলে। যাতায়াত সহজ, দামও নাগালের মধ্যে। বর্ণিল সব তাজা মাছ পেয়ে খুশি ক্রেতারা। শত বছরের পুরনো এ মাছ বাজারটি। এখানে শতাধিক দোকান বসে। দৈনিক বিক্রি হয় দেড় কোটি টাকার বেশি মাছ। বেশি বিক্রি হয় রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, মৃগেল, গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, মহাশোল ও কমনকার্প। রুই, কাতলা, মৃগেল ও কার্পজাতীয় মাছগুলো আসে দাউদকান্দি, মেঘনা ও তিতাস উপজেলার প্লাবন ভূমি থেকে। ইলিশ আসে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। সামুদ্রিক মাছের বেশির ভাগ আসে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে। এর মধ্যে রয়েছে চাপিলা, লইট্টা, সুরমা, কোরাল, টুনা, রূপচাঁদা, বাটা, বাইলা ও চিংড়ি। সামুদ্রিক কাঁকড়াও বিক্রি হয়। দেশি মাছ শিং, মাগুর, কই, টাকি, শোল, টেংরা, পাবদা, পুঁটি, কাঁচকি, বোয়াল, আইড়, বাইন ও গজার। বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সারিতে বসেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। তাজা বর্ণিল মাছ লাফাচ্ছে বিক্রেতার ডালায়। বড় সাইজের মাছের পাশে বেশি ভিড় দেখা যায়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখর চারপাশ। কুমিল্লার শাকতলা, জাঙ্গালিয়া, কচুয়া চৌমুহনী, রাজাপাড়া, নেউরা, দিশাবন্দ, নোয়াগাঁও, মোস্তফাপুর, বেলতলি, কোটবাড়ি, সুয়াগাজী, মিয়াবাজার, চৌয়ারা, কালিকাপুর, লালমাই ও পিপুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার শৌখিন ক্রেতারা এখানে মাছ কিনতে আসেন। সড়কের পাশে গাড়ি রেখে মাছ কেনেন অনেকে। মাছ কাটতে ক্রেতাদের পেছনে ঘুরঘুর করছেন অনেকে। মাছের পানি-কাদা এড়িয়ে চলা ক্রেতারা পছন্দের তাজা মাছটি কিনতে পেরে মুখে ফুটিয়ে তোলেন হাসির ঝিলিক। বিয়ে, জন্মদিনসহ বড় অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও জেলার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো পাইকারি মাছ কেনেন পদুয়ার বাজার থেকে। দাউদকান্দির বেকিনগরের ব্যবসায়ী শাহ আলম, লক্ষ্মীপুরের সফিকুর রহমান জানান, তারা বিক্রি করেন রুই-কাতলাসহ কার্পজাতীয় মাছ। দাউদকান্দির প্লাবনভূমি থেকে মাছ আনেন। প্রতি বাজারে ৩ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ব্যবসায়ী কামাল মিয়া জানান, ২০ বছর ধরে চাঁদপুর থেকে ইলিশ কিনে এ বাজারে বিক্রি করেন। প্রতিদিন গড়ে ৫৫-৬০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়। কুমিল্লার বরুড়ার জামাল হোসেন দেশি শিং ও চিংড়ি মাছ বিক্রি করেন। গড়ে তার ৪০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়। বাজার কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারটি শত বছরের পুরনো। মাছ বাজারটি জমজমাট ৩০ বছর ধরে। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাছ বাজারটি বসে। এটি কুমিল্লার সর্ববৃহৎ মাছ বাজার।
শিরোনাম
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
- তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় ফিরতে হবে: এ্যানি
- আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে মতামত না দেওয়ায় ইশরাকের গেজেট প্রকাশ ইসির
- চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
- ‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করব, তাদের চটাব না’
- বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি
- অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
- বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
- অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই
- নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
- ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই
- লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান
- ‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’
- রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
- মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
- নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত
- বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
- কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
প্রতিদিন বিক্রি প্রায় দেড় কোটি টাকা
তাজা মাছে বর্ণিল পদুয়ার বাজার হাট
রবি ও বৃহস্পতিবার বসে হাট। এখানে দেশি কই, টাকি, শোল, টেংরা, চাষের রুই, কাতলা, মৃগেল, সমুদ্রের চাপিলা, লইট্টা, সুরমা, কোরাল, টুনা মাছও মেলে। যাতায়াত সহজ, দামও নাগালের মধ্যে। বর্ণিল সব তাজা মাছ পেয়ে খুশি ক্রেতারা...
মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর