শখের বসে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ঘুরলেন বগুড়ার মবিন মাছুদ। শুধু ভ্রমণ বা দেখার ছলে নয়, তিনি নিজ দেশের সব এলাকার ইতিহাস জানতে ৬৪ জেলা পরিদর্শন করেন। চট্টগ্রামের বন্দর থেকে শুরু করে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা জনপদ পর্যন্ত প্রতিটি জেলার মাটি থেকে তিনি তুলে এনেছেন একেকটি গল্প। যা এখন গেঁথে আছে তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরি ও হৃদয়ের পাতায়।
জানা যায়, বগুড়ার সদর উপজেলার গ্রাম বুজরুগ বাড়িয়া থেকে বেড়ে ওঠা মবিন মাছুদের ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে তিনি দেশের প্রতিটি এলাকা দেখবেন। মুহাম্মাদ মাছুদুর রহমান, যিনি মবিন মাছুদ নামে পরিচিত। তাঁর জীবন ও যাত্রা শুধু একজন নাগরিকের ভ্রমণ কাহিনি নয়। উচ্চশিক্ষা শেষ করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের স্টাফ কলেজে কর্মরত আছেন তিনি। মবিন মাছুদ জানান, আমি শুধু বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ঘুরিনি, আমি খুঁজে বেড়িয়েছি হৃদয়ের ভাষা। তাঁর যাত্রার শুরু হয়েছিল দিনাজপুর থেকে। শেষ হয় ২০২৫ সালের ২ মে লক্ষ্মীপুর সফরের মধ্য দিয়ে। এ দীর্ঘ পথচলায় তিনি শুধু শহর কিংবা প্রসিদ্ধ স্থান দেখেননি। বরং দেখেছেন মানুষ, মাটি, ভাষা, খাদ্য, কষ্ট ও যাপিত জীবন। ভ্রমণকালে তিনি বিস্মিত হয়েছেন রাঙামাটির পাহাড়ে মানুষের সরলতায়। মুগ্ধ হয়েছেন সিলেটের ছায়াঘন চা-বাগানের নীরবতায়। কুষ্টিয়ার পল্লিতে একটি বাউলের কথায় চমকে গেছেন। চট্টগ্রামের বন্দর থেকে শুরু করে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা জনপদ পর্যন্ত প্রতিটি জেলার মাটি থেকে তুলে এনেছেন একেকটি গল্প। ময়মনসিংহে তিনি আবিষ্কার করেছেন বাংলার লোকসংগীতের সুর। বরিশালে খুঁজেছেন নদীমাতৃক জীবনের অনুপম সাহচর্য। আর কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত চরাঞ্চলে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন জীবনের কঠিন সংগ্রাম। প্রতিটি জায়গা তাঁকে দিয়েছে নতুন উপলব্ধি ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। মবিন মাছুদের এ যাত্রা এখন একটি জীবনঘনিষ্ঠ প্রামাণ্য দলিল হয়ে উঠেছে। তাঁর নোটবুকে লিপিবদ্ধ রয়েছে প্রতিটি জেলার অনুভব, প্রতিটি গ্রাম বা শহরের গল্প।