অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মারাত্মক সংকটের মুখে পড়েছে। গত নয় বছরে পাঁচবার প্রবাল-ব্লিচিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রবালপ্রাচীরের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, গত এক দশকে এই প্রবালপ্রাচীরের আশেপাশের তাপমাত্রা ৪০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলেন ম্যাকগ্রেগর জানান, প্রবালপ্রাচীরের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে বৈজ্ঞানিকভাবে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এই প্রবাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেখছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে প্রবালের বিকাশে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন হেনলি বলেন, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের সাম্প্রতিক অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক, কিন্তু আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এই প্রাচীরের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব। তিনি আরও যোগ করেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে প্রবালপ্রাচীরের ভবিষ্যৎ খুবই অনিশ্চিত।
প্রবালের জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন, যার থেকে সামান্য বিচ্যুতি হলেই তা সাদা হয়ে যায়। এই অবস্থাকে প্রবাল-ব্লিচিং বলা হয়, যা প্রবালের পুষ্টির উৎস ক্ষুদ্র শেওলার বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ঘটে। বিজ্ঞানীদের মতে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রবাল আবার সুস্থ অবস্থায় ফিরতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি, নইলে এই প্রাকৃতিক আশ্চর্যের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল