দেশসেরা চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চোখের রোগনির্ণয়, চিকিৎসা এবং অপারেশন করা হয় বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। এই হাসপাতালে বসুন্ধরা, কুড়িল, নর্দ্দা, বাড্ডা, রামপুরা, খিলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ চক্ষুসেবা নিতে আসে। এ ছাড়াও আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রান্তিক অঞ্চলে চক্ষুশিবির/ক্যাম্পের আয়োজন করে থাকি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চক্ষু চিকিৎসকগণ এখানে চক্ষু রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য রোগী রেফার করেন। বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চোখের রোগ নির্ণয় ও অপারেশনের ব্যবস্থা এই হাসপাতালে রয়েছে। এই সুবিধা ঢাকা শহরের হাতে গোনা অল্প কিছু হাসপাতালে রয়েছে। ২০১৪ সালে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে বছরে প্রায় ৪০ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই হাসপাতালে রেটিনা, কর্নিয়া, গ্লুকোমা, অকুলোপ্লাস্টি, নিউরো অফথালমোলজি এবং শিশু চক্ষু রোগ বিষয়ে সেবা দেওয়া হয়। সব ধরনের ছানি অপারেশন করা হয় বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে। চোখের রোগ নির্ণয়ের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আমাদের হাসপাতালে রয়েছে। লেজার চিকিৎসা ও অপারেশনের মাধ্যমে গ্লুকোমা রেটিনার চিকিৎসা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে আমরা করে থাকি। আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়মিত ফেলোশিপের জন্য পাঠানো হয়। চোখের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগীরা এই হাসপাতালে আসেন। তবে ইদানীং লাল চোখ বা চোখ ওঠা, শিশুদের চোখের পাওয়ারের সমস্যা, বড়দের ছানি, চোখে আঘাতজনিত সমস্যা,
চোখে লোহার টুকরা বা ময়লা পড়া, ডায়াবেটিসজনিত চোখে রক্তক্ষরণ বা কম দেখার সমস্যা নিয়ে রোগীরা বেশি আসেন। শিশুদের মোবাইল আসক্তির কারণে দৃষ্টিজনিত ত্রুটি বাড়ছে।
দরিদ্র রোগীদের জন্য আমাদের এখানে নাম মাত্র খরচে ছানি অপারেশন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্প করে মানুষের চোখের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে যে রোগীদের ছানি কিংবা চোখের অন্য সমস্যায় অপারেশন প্রয়োজন পড়ে তাদের এ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই রোগীদের বিনামূল্যে থাকাখাওয়াসহ ছানি অপারেশন এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা হয়। রোগীদের সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের এখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তাই এখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না। আমরা গুরুত্ব দিয়েই প্রত্যেক রোগীর রোগ নির্ণয় করি, যথাযথ চিকিৎসা এবং ফলোআপ করার চেষ্টা করি। দরিদ্র রোগীদের ভর্তুকি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যাতে কোনো রোগী ফিরে না যান। আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো, হাসপাতালকে ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করা যাতে এখান থেকে ভালো চক্ষু চিকিৎসক তৈরি হয়ে রোগীদের উন্নত সেবা দিতে পারেন।