বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সর্বাধুনিক পণ্য ও সেবা দিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। শুধু প্রযুক্তি সরবরাহই নয়, বরং বাংলাদেশের অগ্রগতিতে এক বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গঠন। এজন্য তিনটি কার্যালয় ও একটি একাডেমির মাধ্যমে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং পরবর্তীতে ফোরজি ও ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু ও সম্প্রসারণেও হুয়াওয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি স্মার্টফোনের চাহিদা মেটাতে দারুণ ক্যামেরা আর নতুন নতুন ফিচারের স্মার্টফোন বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে হুয়াওয়েই প্রথম বাংলাদেশে সোলার নির্ভর ধারণা প্রতিষ্ঠা করে। স্বাস্থ্য খাতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অত্যাধুনিক মেডিকেল নেটওয়ার্ক সিস্টেম চালু করে দেশের স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়ন ঘটিয়েছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশের টেলিকম বিটিএসের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন। এর মাধ্যমে টেলিকম শিল্পে উল্লেখযোগ্যভাবে খরচ সাশ্রয়, পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিপর্যয় পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া এটি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহায়তা করবে। এদিকে বিভিন্ন প্রকল্পে অপটিক্যাল ফাইবার লেআউটের জন্য কাজ করেছে হুয়াওয়ে। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা সহজে কাজ করতে পারছেন। দেশের প্রথম ই-গভর্নমেন্ট ক্লাউড প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে ক্লাউড সেবা প্রদান করছে হুয়াওয়ে। এদিকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হাই-পারফরম্যান্স কম্পিউটিং (এইচপিসি), ক্লাউড, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট শিক্ষার সুযোগ ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’, ‘উইমেন ইন টেক’, ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন’, ‘হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর’ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে হুয়াওয়ে। চুয়েট, রুয়েট, এআইইউবির মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানা ধরনের কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন।
হুয়াওয়ে স্মার্ট হাইওয়ে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি ইনটেলিজেন্ট হাইওয়ে সিস্টেমও তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য লাইসেন্স প্লেট শনাক্তকরণ ক্যামেরা, স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ ক্যামেরা ও নিয়ম লঙ্ঘন শনাক্তকরণ সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে।