প্রায় তিন দশকের অপেক্ষা শেষে আবারও বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি নরওয়ের সামনে। সবশেষ তারা ফুটবলের বিশ্ব মঞ্চে খেলেছে ১৯৯৮ সালে, তখন আর্লিং হলান্ডের জন্মই হয়নি। এবার সেই দেশের ফুটবলে নতুন আশা হয়ে ওঠা এই তারকার নেতৃত্বেই ২০২৬ বিশ্বকাপের পথে দুর্দান্ত অগ্রযাত্রা দলটির।
ইউরোপ বাছাইয়ের ‘আই’ গ্রুপে সাত ম্যাচে সাত জয় নিয়ে ২১ পয়েন্ট নরওয়ের। বিপরীতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইতালি। রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১:৪৫-এ মিলানে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচে ড্র করলেই নরওয়ে নিশ্চিত করবে সরাসরি বিশ্বকাপ।
নরওয়ের এই উড়ন্ত যাত্রায় বড় ভূমিকা হলান্ডের। দলটির ৩৩ গোলের মধ্যে একাই করেছেন ১৪টি। সেপ্টেম্বরে মলদোভার বিপক্ষে ১১-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে পাঁচ গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার।
ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের আগে হলান্ড জানান, ২০১৯ সালে নরওয়ের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকেই তার লক্ষ্য দলকে বিশ্বকাপে দেখা।
তিনি বলেন,'নরওয়েকে বিশ্বকাপে নেওয়ার দায়িত্ব সবসময়ই আমার কাঁধে ছিল। অনেক বছর ধরে এই কথাই বলে আসছি। জাতীয় দলে আসার পর থেকেই এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।'
২৫ বছর বয়সী এই তারকা আরও যোগ করেন,'এখন আমরা খুব কাছে। আমার জন্মের পর নরওয়ে কখনও বিশ্বকাপে যেতে পারেনি। এবার তা করতে পারলে সেটা আমার জন্য বিশাল ব্যাপার হবে। সর্বোচ্চটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।'
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রে নরওয়ের হয়ে সবশেষ খেলেছিলেন হলান্ডের বাবা আলফ-ইঙ্গে হলান্ড, ১৯৯৪ বিশ্বকাপে। ছেলেও যদি সেখানে খেলতে পারেন, সেটি হবে বিশেষ অনুভূতি।
হলান্ড বলেন,'আমার বাবা ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলেছিলেন। প্রায় ৩০ বছর পর সেই জায়গায় আমার খেলার সুযোগ আসা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করছে।'
ইউরোপ বাছাইয়ে গ্রুপসেরা দল সরাসরি বিশ্বকাপে, রানার্সআপকে যেতে হবে প্লে-অফে। ইতালির সামনে তাই কঠিন সমীকরণ। নরওয়ের বিপক্ষে সরাসরি টিকেট পেতে তাদের জিততে হবে ৯ গোলের ব্যবধানে, যা প্রায় অসম্ভব। আগের ম্যাচে নরওয়ের মাঠে তারা হেরেছিল ৩-০ ফলে।
টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে না খেলার ঝুঁকি এখন ইতালির সামনে, আগের দুটি আসরেই তারা ছিটকে যায় প্লে-অফে হেরে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা