ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন। রবিবার বিকেলে ও দুপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে নিহতরা সবাই পুরুষ এবং বয়স ২৫-৩৫ এর মধ্যে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ কর্মকর্তা।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ওসি জাকির রাব্বানী জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বটতল এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় ২০ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আরো একজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে সবার নাম ঠিকানা বিস্তারিত জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ বেলাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডা. মোহাম্মদ ইমরান জানান, দুর্ঘটনায় কমবেশি আহত ২০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে। বাকীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে সংশ্লিষ্টদের বরাতে দোহাজারী হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুস সাত্তার জানান, রবিবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে সাকিবুল হাসান (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা সোহাগ নামের আরো একজন আহত হয়েছেন। নিহত সাকিবুল নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি একটি দলের সাথে বাইকে করে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথেই দুর্ঘটনার শিকার হন। তার লাশ লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টারে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। আহত সোহাগকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম