শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাফুফের এজিএম চাপে সালাউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাফুফের এজিএম চাপে সালাউদ্দিন

ক্রীড়াঙ্গনের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আরেকটি নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে। ১৯৯৮ সাল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে বাফুফের  কমিটি গঠন হচ্ছে। ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বাফুফের শেষ নির্বাচন হয়। চার বছরের মেয়াদ শেষের দিকে। নতুন নির্বাচন হতে বড়জোর চার মাস সময় আছে। বড় পদ সভাপতি হতে কারা নির্বাচন করবেন তা অনেকটাই স্পষ্ট। বাফুফে বর্তমান সভাপতি কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল চেয়ারম্যান এবং সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও দুজন চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেননি, তারপরও তাদের কার্যক্রমই বলে দিচ্ছে সভাপতি পদে তারা লড়বেন।

এর আগে তিনবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফুটবলে নতুন রেকর্ড গড়েন সালাউদ্দিন। গত নির্বাচনী প্রচারের সময় সালাউদ্দিন মিডিয়াকে বলেছিলেন, এটিই তার শেষ নির্বাচন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন। এখনই নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্রীড়াঙ্গন। দুজনই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সংগঠকদের নিয়ে। আজ গাজীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান কমিটির অধীনে প্রথম সাধারণ সভা। আর এ সভায় তোপের মধ্যে পড়তে পারেন সালাউদ্দিন। গতবার তারই প্যানেলে পাস করা সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি অডিট রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। আরেক সভাপতি বাদল রায়ও ফেডারেশনের কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন ক্লাব অংশগ্রহণকারী অর্থ ঠিকমতো না পাওয়ায় তারাও হতাশ। বাফুফে হিসাব নিয়ে কাজী সালাউদ্দিনকে দুদকও তলব করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগের মামলায় মহিলা সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ জেলও খেটেছেন। মহি ও বাদল যেমন অডিট রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ, তেমনি নির্বাহী কমিটির বেশ কজন সদস্য সভাপতির কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নন। একজন সদস্য বলেন, বাফুফে যেভাবে চলছে তাতে তিন সদস্যের কমিটিই বলা যায়। তারাই নিজেদের খুশিমতো ফেডারেশন চালাচ্ছেন। বাকিদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেন না। অনেকে আজকের সাধারণ সভাকে নির্বাচনী শোডাউন মনে করছেন।

সর্বশেষ খবর