বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘাসের মাঠে জাতীয় অ্যাথলেটিকস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বাধীনতার ৪৮ বছরে ৪৩তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস মাঠে গড়াচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মাত্র পাঁচবার আসর না গড়ানোটা কোনো ব্যর্থতা নয়। বরং এক্ষেত্রে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ধন্যবাদ পেতেই পারে। সমস্যা বা বিতর্কটা তৈরি হয়েছে এবারের আসর ঘিরে। আজ থেকে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ৪৩তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রামে টার্ফ নেই তাই স্বাভাবিকভাবে অ্যাথলেটরা ঘাসের মধ্যেই দৌড়াবে। বর্তমান যুগে অ্যাথলেটিকস ঘাষের মাঠে হওয়াটা বড় বিস্ময়। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার পেছনে কর্মকর্তারা উপযুক্ত সুযোগ সুবিধার অভাবের কথা তুলে ধরেন। সেখানে ফেডারেশন ঘাসের মাঠ বেছে নিল কেন? জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ যে ঢাকাতেই হতে হবে এর কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু এটাও তো ভাবা উচিত ছিল ঢাকা ছাড়া আর কোথাও টার্ফ নেই।

বড় ধরনের গেমসের কথা বাদই দিলাম। এস এ গেমসে ২০০০ সালের পর অ্যাথলেটরা কোনো  সোনা জিততে পারেননি। এবার নেপালে ১টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ জিতে। পারফরম্যান্সের মান যেখানে এত নিচে সেখানে টার্ফ বাদ দিয়ে জাতীয় আয়োজন করাটা হাস্যকর। হতে পারে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল হচ্ছে বলে এখানে অ্যাথলেটিক্স আয়োজন করা যেত না। সমস্যা কি টুর্নামেন্ট শেষ হলেই অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন শিডিউল ঘোষণা করত। তা না হলে আর্মি স্টেডিয়ামে টার্ফ তো ছিলই। কর্মকর্তারা এ নিয়ে অনেক যুক্তি তুলে ধরতে পারেন। তবে সারা দুনিয়াতে যেখানে টার্ফ ছাড়া অ্যাথলেটিক্স অচল সেখানে ঘাসের মাঠে আয়োজন করে কর্মকর্তারা এ জনপ্রিয় খেলাকে আরও পেছনে ঠেলে দিলেন।

যাক ৪৩তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি, বিজেএমসি ও সার্ভিসেস দলগুলো অংশ নেবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও মহিলা দুই গ্রুপে ৩৬ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

 

 

সর্বশেষ খবর