টি-২০ ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। বোলারদের ওপর ব্যাটসম্যানদের বাহাদুরি। অবশ্য পেস বোলাররাও পিছিয়ে থাকেন না। গতির সঙ্গে সুইং, বাউন্স ও নিয়ন্ত্রণের মিশেলে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলেন ম্যাচগুলোতে। ২৪ নভেম্বর শুরু পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-২০ টুর্নামেন্টে ব্যাটসম্যানদের উপর যেমন নজর থাকবে, তেমনি আলাদা নজর থাকবে পেসারদের উপরও। করোনাভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা ফিরেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে। এবার লড়াই করবেন ২০ ওভারে টুর্নামেন্টে।
বিবিসি প্রেসিডেন্ট কাপে দারুণ বোলিং করেছেন রুবেল, সাইফুদ্দিন, আল-আমিন, মুস্তাফিজ, এবাদতরা। টুর্নামেন্টে একমাত্র পেসার হিসেবে ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব দেখান সাইফুদ্দিন। ২৬ রানের খরচে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ২৪ বছর বয়স্ক অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন প্রেসিডেন্ট কাপে ৪ ম্যাচে উইকেট নেন ১২টি। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত টেস্ট না খেলা সাইফুদ্দিন ৫৫ টি-২০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৬৯টি। পুরনো বলে রিভার্স সুইং ও ব্লকহোলে নিয়মিত বোলিং করতে পারেন বলেই বঙ্গবন্ধু কাপে আলাদা নজর থাকবে এই অলরাউন্ডারের উপর। প্রেসিডেন্ট কাপে গতির ঝড় তুলেন রুবেল। ৩১ বছর বয়স্ক রুবেল রিভার্স সুইংয়ে পাকা। গতি ছাড়াও বাউন্সটাও বেশ ভালো করেন। অভিজ্ঞ এই পেসার প্রেসিডেন্ট কাপে ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে আসর সেরা হয়েছেন। ১১১ টি-২০ ম্যাচে তার উইকেট ১৩৭টি। এবারও তিনি ঝড় তুলবেন আসরে। ২৫ বছর বয়স্ক ‘কাটার মাস্টার’ দীর্ঘ বিরতির পর খেললেও দারুণ বোলিং করেছেন প্রেসিডেন্ট কাপে। ৪ ম্যাচে তার উইকেট ৮টি। বঙ্গবন্ধু কাপে তিনি ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়ে দিবেন বলেই বিশ্বাস নির্বাচকদের। টি-২০ ক্রিকেটে বরাবরই তিনি সফল। গতির সঙ্গে বাউন্সে দারুণ সিদ্ধ তাসকিন। এই ডান হাতি পেসার রয়েছেন ছন্দে। ২৬ বছর বয়স্ক প্রেসিডেন্ট কাপে ধারাবাহিকতা রেখে ৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৭টি। ৩১ বছর বয়স্ক আল-আমিন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন প্রেসিডেন্ট কাপে। ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন মাত্র ১৫৩। টেস্ট পেসার এবাদত ছিলেন একটু বেশিই খরুচে। প্রেসিডেন্ট কাপের ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিতে রান দিয়েছেন ২৩০। করোনার জন্য আবু জায়েদ রাহী খেলেছেন মাত্র ৩ ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৪টি।
শর্টার ভার্সান এই টুর্নামেন্টে পেসারদের জোর লড়াই করতে হবে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে।২৪ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টুর্নামেন্টে লড়াইয়ে কারা জয়ী হবেন, সেটাই দেখার বিষয়।