সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা

তামিম, সৌম্য, মুশফিক, মিথুন, মুমিনুলদের ব্যর্থতায় জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। অথচ মিরপুরে গত দুই বছরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা

ছবি : রোহেত রাজীব

মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যাওয়া বলটি প্রথম স্লিপে বিশালদেহী রাহকিম কর্নওয়ালের তালুবন্দী হতেই, ছাতার মতো চেপে বসা ক্যারিবীয় ফিল্ডাররা মুহূর্তেই উৎসব, উচ্ছ্বাস ও উল্লাসে ফেটে পড়েন। বাংলাদেশের সাজঘরে তখন বিপরীত চিত্র। কাছে এসে তরী ডোবার যন্ত্রণায় হতবিহ্বল মিরাজ বসে পড়েছেন উইকেটে। টাইগার অধিনায়ক হারের বেদনায় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে মাথা নিচু করে বসে আছেন সাজঘরে।

১৭ রানের এই হারে ৯ বছর পর হোয়াইটওয়াশ হল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেই। মুমিনুলরা চট্টগ্রামে হেরেছিলেন ৩ উইকেটে।

চট্টগ্রামে টানা চারদিন চালকের আসনে বসেছিলেন মুমিনুলরা। শেষ দিন কাইলি মেয়ার্স ডাবল সেঞ্চুরি করে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন দলকে। চট্টগ্রামের ধাক্কা সামলে মিরপুরে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল টাইগাররা। মিরপুরে আগের ৬ টেস্টে ৫ জয় পাওয়া মুমিনুলরা জয় পেতে মরিয়া একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। কিন্তু পরিবর্তন জয় উপহার দিতে পারেনি। তামিম, সৌম্য, মুশফিক, মিথুন, মুমিনুলদের ব্যর্থতায় জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। অথচ মিরপুরে গত দুই বছরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। মাঝে শ্রীলঙ্কার কাছে হার ছাড়া জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এই মাঠে টাইগারদের সাকল্যে ৬ জয়ের একটি মাত্র রান তাড়া করে। সেটি আবার ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে। ১০১ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে টাইগাররা হারিয়েছিল ৭ উইকেট। এবার ২৩১ রান তাড়া করতে নেমে তামিম ও সৌম্য ৫৯ রান যোগ করে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। ব্রেথওয়েইটের সাধারণ মানের স্পিনে সৌম্য আউট হওয়ার পর প্রতিরোধ ভেঙে যায় মুমিুনলদের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে

৪০৯ রান করেছিল। মুমিনুলরা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৯৬ রানে। ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল, নাঈমের স্পিনে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। টার্গেট দেয় ২৩১ রান।

সতীর্থদের ব্যর্থতার মধ্যেও ৮ নম্বরে ব্যাট করে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মিরাজ। ম্যাচসেরা কর্নওয়ালের টানা দুই ওভারে ছক্কা ও চারে ২০ রান তুলে জয়ের নিঃশ্বাস সমান দূরত্বে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু তার ৫৬ বলে ৩১ রানের লড়াকু ইনিংসটি থেমে যায় ৬১.৩ ওভারে। ওয়ারিক্যানের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলটিকে ফরোয়ার্ড খেললেও ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে। কর্নওয়াল ঝুঁকে আলগোছে ধরে ফেলেন ক্যাচটি। মিরাজ লড়াই করলেও আত্মাহূতি দেন অপরাপর ব্যাটসম্যানরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর