শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
জয়ে শুরু সাকিবের বরিশালের, হারলেও ম্যাচসেরা মিরাজ

দ্যুতি ছড়ালেন স্পিনাররা

বেনি হাওয়েলের ২০ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসটি ছিল টি-২০ আদলের। বিপিএল শুরুর দিনেই বাজিমাত করেছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। সাকিব বাহিনী জিতেছে ৪ উইকেটে ৮ বল হাতে রেখে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দ্যুতি ছড়ালেন স্পিনাররা

ছবি : রোহেত রাজীব

দারুণ এক ছক্কায় শুরু বিপিএল। নাঈম হাসানের বলকে কেনার উইলিয়ামস যখন সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন, তখন মনে হয়েছিল চার-ছক্কার ফুল ধামাকা থাকবে ফরচুন বরিশাল-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে। কিন্তু প্রথম বলের ধামাকা গোটা ইনিংসে দেখা গেছে শুধু একজনের চওড়া ব্যাটে। বেনি হাওয়েলের ২০ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসটি ছিল টি-২০ আদলের। বিপিএল শুরুর দিনেই বাজিমাত করেছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। সাকিব বাহিনী জিতেছে ৪ উইকেটে ৮ বল হাতে রেখে। তবে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত বোলিং করে। শুধু মিরাজ নন, ম্যাচে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন সাকিব। টাইগারদের বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ উইকেট না পেলেও নতুন বলে নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেন। কুয়াশাভেজা উইকেটে তিন স্পিনার মিলে ১২ ওভারে রান দেন ৪৪। উইকেট ৫টি এবং ডট বল ৪২টি। নাসুম ডট নেন ৯টি, মিরাজ ১৭টি এবং সাকিব ১৬টি।

করোনার সংক্রমণ এড়াতে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে শুরু হয় বিপিএল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরু ছক্কায়। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানো উইলিয়ামস সাজঘরে ফেরেন ২ বল পরে। সেই ধাক্কা সামলে নিতে নিতে একপর্যায়ে ৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পরে চট্টগ্রাম। তখনই ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে হাওয়েল ২০ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রান করলে চট্টগ্রামের সংগ্রহ হয় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫। কিন্তু উইকেটে বল নিচু হয়নি। এমন ব্যাটিং উইকেটে আলঝারির জোসেফ গতির ঝড় তুলে উইকেট নেন ৩২ রানের খরচে ৩টি। মিতব্যয়ী ছিলেন সাকিব। ৪ ওভারে ৯ রানের খরচে আউট করেন একসময়কার সতীর্থ সাব্বির রহমানকে।

টার্গেট ১২৬ হলেও শুরু ভালো হয়নি বরিশালের। দ্বিতীয় ওভারের ৩ নম্বর বলে মিরাজের সোজা বলে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা সাকিব ভালো ব্যাটিং করছিলেন। ১৫ বলে ২ চারে ১৩ রান করে মিরাজকে চার্জ করতে গিয়ে বোল্ড হন। ২৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন ওপেনার সৈকত আলি ও তওহিদ। সৈকত দারুণ ব্যাট করে দলের জয় সহজ করেন। একপর্যায়ে বরিশালের দরকার ছিল ৩৫ বলে ৩৪ রান। হাতে উইকেট ছিল ৭টি। মিরাজের ১ ওভারে ৩ উইকেটের পতনে জমে ওঠে ম্যাচ। সৈকতকে ১৫ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট করেই পরের বলে লেগ বিফোর ইরফান শুক্কুরকে। টানা ২ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়ে রাখেন। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় হাটট্রিক পাননি মিরাজ। তবে তাঁর ওভারের শেষ বলে রানআউট হন সাদমান। ১ ওভারে ৩ উইকেট হারালে ম্যাচের স্কোর হঠাৎই ৬ উইকেটে ৯২ হয়। সেখান থেকে সপ্তম উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জয় উপহার দেন ডুইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান। মিরাজ ৪ ওভারের স্পেলে ১৬ রানের খরচে উইকেট নেন ৪টি। নতুন বলে তাঁর সহযোগী নাসুম উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করে ৪ ওভারে ১৯ রান দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর