রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

সাবিনাদের ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান

জাতীয় দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয়ে আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন সাবিনা খাতুনরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাবিনাদের ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান

বাংলাদেশের পুরুষ জাতীয় দল পাকিস্তানের মুখোমুখি হলে কে জিতবে বলা মুশকিল। কিন্তু নারী দল জিতবেই তা চ্যালেঞ্জ করে বলা যেতে পারে। নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে তাই ঘটল। জাতীয় দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয়ে আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন সাবিনা খাতুনরা। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারায়। দুই ম্যাচে ৯ গোল করে বাংলাদেশ তাদের শক্তি সামর্থ্যরে প্রমাণ দিল। ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলা। এখানেই নিষ্পত্তি হবে কারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রথমবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হলো।

৬-০ ব্যবধানকে বড় জয়ই বলা যায়। তবে বাংলাদেশ প্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল গোলের সংখ্যা আরও বড় হবে। কেননা অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে বাংলাদেশ ১৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। অনেকে তখন বলেছিলেন ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে হকিতে পাকিস্তানের কাছে ১৭ গোলে হারার প্রতিশোধ নিল। গতকাল পাকিস্তান ৬-০ গোলে হারলেও তার মানে এই নয় যেন নারী ফুটবলে তারা উন্নয়ন ঘটিয়েছে।  বাংলাদেশ সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান বাড়তে পারেনি। শুরু থেকে সাবিনারা দাপটের সঙ্গে খেলেছে। কিন্তু রক্ষণাত্মক খেলা খেলে পাকিস্তান বাংলাদেশের অনেক আক্রমণ নষ্ট করে দিয়েছে। পয়েন্ট নয়, পাকিস্তানের চিন্তায় ছিল কম গোল খাওয়া। এ ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে বলা যায়। তা না হলে বাংলাদেশের গোলের সংখ্যা ১০-এ ছাড়িয়ে যেত।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ০-৩ গোলে হারলেও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ সময় নেয়নি। তৃতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যান সাবিনারা। ডানপ্রাপ্ত দিয়ে ঢুকে সাবিনার ব্যাক পাস। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মনিকা চাকমা চলন্ত বলে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে পরাস্ত করেন পাকিস্তানে গোলরক্ষক শাহিদ বুখারীকে। ব্যবধান বাড়াতে ঘন ঘন আক্রমণ। অথচ দ্বিতীয় গোল পেতে বাংলাদেশকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। মারিয়া মান্ডা মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে সাবিনাকে দেন। অধিনায়ক দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল ঠেলে দেন সিরাত জামান স্বপ্নার কাছে। প্লেসিং শটে স্বপ্না গোল করেন। দুই মিনিট পর সাবিনা দলের তৃতীয় গোল করেন। বিরতির আগে আবারও জালে বল পাঠান তিনি। প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

৫৯ মিনিটে বাংলাদেশের অধিনায়ক হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। মারিয়া মান্ডার ক্রস থেকে নিজের তৃতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন। এবারের সাফে সাবিনার এটি পঞ্চম গোল। মালদ্বীপের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গোল মেশিনখ্যাত সাবিনার এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ২০১৬ সালে শিলিগুঁড়িতে আফগানিস্তানদের বিপক্ষে ৫ গোল করেছিলেন। গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশের ষষ্ঠ ও শেষ গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা।

সর্বশেষ খবর