শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মেয়েদের দৃষ্টি এবার এশিয়ান কাপে

মেয়েদের লড়াইয়ের মানসিকতা বেড়েছে

গোলাম রব্বানী ছোটন

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের লক্ষ্য ছিল আমাদের। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন ছিল। আমরা সাফ জয় করেছি ২০২২ সালেই। আমাদের মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা মাঠে নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে। এবার আমাদের লক্ষ্য এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বে খেলা। এই লক্ষ্য পূরণে আরও পরিশ্রম করতে হবে। মেয়েদের মধ্যে এখন লড়াই করার মানসিকতা আরও বেড়েছে। তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। বড় দলগুলোর সঙ্গে আমরা আগে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। সেসব ম্যাচ থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। বয়সভিত্তিক দলগুলোর লড়াইয়ে আমরা জয় পেয়েছি। এবার সিনিয়র লেভেলেও প্রমাণ করেছি। শিগগিরই এশিয়ান লেভেলেও আমাদের মেয়েরা ভালো করবে।

 

আরও বড় ট্রফি জিততে চাই

সাবিনা খাতুন

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর দেশের মানুষের ভালোবাসা সত্যিই অবাক করেছে আমাকে। সবাই বলত, ফুটবলের গৌরব হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা মোটেও কমেনি। রাস্তায় মানুষের ঢল তারই প্রমাণ। সবাই আমাদের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। আমাদের অভিবাদন জানিয়েছেন। দেশের মানুষের এই ভালোবাসা আমাদেরকে সামনে আরও ভালো করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। এবার আমরা আরও বড় ট্রফি জিততে চাই। সবার মুখে হাসি ফোঁটাতে চাই। জয়ের এই ধারাটা অব্যাহত রাখতে চাই। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করার পরই আমরা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছি। কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় তার পরিকল্পনা করছি।

 

আমাদের দেখে এগিয়ে আসবে অন্যরাও

মাসুরা পারভিন

আমরা সাফ চ্যাম্পিয়ন জয় করেছি অনেক কষ্টের পর। অনেকগুলো বছর আমরা নানারকমের কষ্ট করেছি। কঠোর অনুশীলন করেছি। নানারকমের বাঁধার পাহাড় পেরিয়ে এসেছি। এখন সবার কাছ থেকেই ভালোবাসা পাচ্ছি। দেশের সবাই আমাদের অর্জন নিয়ে গৌরব করছে। এই জয় দেশের সবার। সবাই আমাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমরা এতে অভীভূত। আমাদের এই অর্জন ভবিষ্যতে মেয়েদেরকে ফুটবল খেলতে উৎসাহ জোগাবে। আরও ভালো ভালো ফুটবলার উঠে আসবে। তারা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলবে। কারণ, আমরা প্রমাণ করেছি খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা জয় করা যায়। অর্থনৈতিক মুক্তিও সম্ভব। মেয়েরা এখন সামাজিক স্বীকৃতিও পাচ্ছে ।

 

আরও ভালো খেলতে চাই

শিউলি আজিম

আমরা মেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছি। গত চার পাঁচ বছর ধরে এক সঙ্গে খেলছি। কেউ কেউ তারও আগে থেকে খেলছেন। এখন বলতে গেলে পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে গেছি আমরা সবাই। একে অপরের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারি আমরা। মারিয়া মান্ডা তো প্রায়ই আমাদের চুল বেঁধে দেয়। অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের মধ্যে অনেক খুনসুঁটিও হয়। সবার সঙ্গেই সম্পর্কটা দারুণ। মাঠে নামলে অন্যরকম আত্মবিশ্বাস কাজ করে এই কারণে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর আমরা এবার সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। আরও ভালো ফুটবল খেলে দেশকে আরও ট্রফি উপহার দিতে চাই। প্রত্যেকের মধ্যেই নতুন আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আশা করি আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।

 

মানুষের ভালোবাসার মূল্য দিতে চেষ্টা করব

সানজিদা আক্তার

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করাটা এখন পর্যন্ত আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। এই জয় আমাদেরকে অভূতপূর্ব সম্মান উপহার দিয়েছে। দেশের সবার যে ভালোবাসা পেয়েছি তা সত্যিই অবাক করার মতো ছিল। আমরা এমনটা কল্পনাও করতে পারিনি। দেশে ফেরার আগে ভাবিনি এমন এলাহি কা  দেখব। সবার এই ভালোবাসা আমাদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। চেষ্টা করব সবসময় দেশের মানুষের এই ভালোবাসার মূল্য দিতে। আমরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেই থেমে যেতে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে আরও ভালো ফুটবল খেলতে চাই। আমরা গত কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে ফুটবল খেলেছি। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাগুলোতে অনেক ট্রফিও জিতেছি।

সর্বশেষ খবর