শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিরোপায় ভরা বসুন্ধরা

ইতিহাস গড়ে নারী লিগেও হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন

মনোয়ার হক

শিরোপায় ভরা বসুন্ধরা

ঘরোয়া ফুটবলে ইতিহাস গড়েই চলেছে বসুন্ধরা কিংস। সেই সঙ্গে শোকেস ভরে যাচ্ছে শিরোপার ট্রফিতে। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় ঘরোয়া লিগের যাত্রা। ৭৪ বছরে অন্যরা যা পারেনি তা করে দেখিয়ে দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। নারী লিগে গতকাল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা তিন অর্থাৎ হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন সাবিনা খাতুনরা। ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে পেশাদার লিগে বসুন্ধরার আগমন। নতুন দল অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড গড়ে দলটি। এরপর হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস লিখে ফেলে বসুন্ধরা পুরুষ ফুটবল দল। নতুন দল হিসেবে অতীতে কোনো ক্লাব এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। চার বছরের মধ্যে পুরুষ লিগে ৩, ফেডারেশন কাপ ২, স্বাধীনতা কাপ ২ ও নারী লিগে ৩ অর্থাৎ ১০ শিরোপা জিতে অনন্য এক রেকর্ড গড়ল কিংস।

নারী লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ঘরোয়া ফুটবলে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এই লিগে অভিষেকের পর প্রথম আসরেই দুই পর্বে ১২ ম্যাচে পূর্ণ ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কিংস। পরের মৌসুমে দুই পর্বে ১৪ ম্যাচ জিতে আবারও চ্যাম্পিয়ন। এবার সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে ১১ ম্যাচ জিতে টানা ৩৭ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। যা ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে পুরুষ দলও গড়তে পারেনি। ঢাকা মোহামেডান হ্যাটট্রিক অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলেও ড্র করেছে কয়েকটি ম্যাচ।

বসুন্ধরা কিংস ২ : ০ আতাউর রহমান ভূঁইয়া
গতকাল কমলাপুর শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা গ্রুপ নারী লিগের ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছিল। কেননা মাঠে নামার আগে বসুন্ধরা কিংস ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ দুই দলই ১০ ম্যাচে সবকটি জিতে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। ১১তম ম্যাচে যারা জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছেন কিংসের মেয়েরা। শিরোপায় বছরটা শেষ করল বসুন্ধরা কিংস।

দুই দলের ম্যাচে ছিল ফাইনালের উত্তাপ। আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজও দারুণ খেলেছে। প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল আতাউর রহমান কলেজই। ২৪ মিনিটে কিংসের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করতে পারেননি আকলিমা খাতুন। গোলরক্ষক রূপন চাকমা দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন। এরপরই কিংস গুছিয়ে নিতে থাকে। ৩৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কৃষ্ণা রানী সরকারের দূর পাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

প্রথমার্ধে গোল না হওয়ায় কিংসের সমর্থকরা ছিল শঙ্কিত। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। কে যে গোল করবে তা বলা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত স্বস্তি নেমে আসে বসুন্ধরা শিবিরে। মনিকা চাকমার ছোট করে কর্নার থেকে বল পান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার ক্রসে বল পেয়ে যান শিউলি আজিম। জটলার মধ্যে তিনি জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি। দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় কিংস। শামসুন্নাহার সিনিয়র গোল করলে বসুন্ধরার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর