তাহলে কি সাকিব আল হাসানের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে? ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে তিনি কি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন? কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন তিনি ক্যারিয়ারের শেষ টি-২০ খেলে ফেলেছেন আগেই। এবার টেস্টকে বিদায় জানানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাকিব এটাও বলেছিলেন দেশের মাটিতে জীবনের শেষ টেস্ট খেলতে চান। এ নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কেননা সাকিব যেদিন অবসরের কথা জানান পরের দিনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, সাকিবের নিরাপত্তা তারা দিতে পারবেন না। এ দায়িত্ব সরকারের।
বোর্ড সভাপতির এমন মন্তব্যের পর অনেকে ধরে নেন কানপুরেই হবে সাকিবের ক্যারিয়ারে শেষ টেস্ট। দেশের ক্রিকেট অভিভাবকই যখন এ নিয়ে চিন্তিত তখন কোন ঝুঁকিতে সাকিব দেশে এসে খেলতে চাইবেন। একে তো পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তারপর আবার মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে আবার আগে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছিলেন, সাকিবের পরিচয় দুইটা, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে এক, অন্যটি হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয়। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। মানুষের মধ্যে এ নিয়ে দুইটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। তিনি এটাও বলেছিলেন, রাজনৈতিক কারণে যদি দেশের মানুষের ক্ষোভ থাকে, সেই ক্ষোভ সাকিবকেই প্রশমন করতে হবে।
ধরেই নেওয়া হচ্ছে, কানপুরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্যারিয়ারে শেষ টেস্টটি খেলেই ফেলেছেন। কিন্তু জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার বলেছেন, সাকিবের মতো ক্রিকেটারের বিদায়টা দেশে খেলেই হওয়া উচিত। এ জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তারা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারজাহতে টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচ দেখেছেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের হাতে পুরস্কারও তুলে দিয়েছেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই সাকিব দেশের মাটিতে খেলেই টেস্টকে বিদায় জানান। দেশে খেলতে এলে সাকিবকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সাকিব এমন একজন খেলোয়াড় যার দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে। উনি যেহেতু বাংলাদেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সেই সুযোগ তিনি পান।তিনি বলেন, আমাদের একজন খেলোয়াড়কে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা ভিন্ন বিষয়। সেই বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। সেটা আইন মন্ত্রণালয় দেখবে। আমরা তার নিরাপত্তার কথা এরই মধ্যে বলেছি, সেটা আমরা নিশ্চিত করব। যোগ করেন তিনি।