ফুটবলে কয়েক বছর ধরেই সে মানের তারকা ফুটবলারের দেখা মিলছে না। গত ১০ বছরে যদি বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ফুটবলার বলা হয় তাহলে জামাল ভূঁইয়ার নামই আসবে। ডেনমার্ক প্রবাসী এ খেলোয়াড় দেশের বিভিন্ন দলে খেলে দর্শকদের মন জয় করেছেন। ২০১২ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন এবং জাতীয় দলে সর্বাধিক ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সত্যি বলতে কী, জামালের পারফরম্যান্স এখন পড়তির দিকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটাই স্বাভাবিক। চলতি মৌসুমে তাকে কোনো দলে দেখা যায়নি। ঢাকা আবাহনীতে খেলার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কথাও শোনা গিয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনো দলের জার্সি পরেননি। পেশাদার লিগে দ্বিতীয় লেগে দেখা মিলবে কি না সেটা দেখার বিষয়। জাতীয় দলেও কোনো ম্যাচ খেলেননি বা কোচ তাকে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।
মাঠে ছিলেন না বলেই জামাল ডেনমার্কে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। গতকাল ঢাকায় ফিরেই বাফুফে-এএফসি এ ডিপ্লোমা কোচিং কোর্সে (পর্ব-১) অংশ নিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলামসহ সাবেক ও বর্তমান কোচসহ ২৪ জন এ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন। ১২ দিনের কোর্সটি পরিচালনা করছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু ও জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। কোচিং কোর্স যখন করছেন তখন খেলোয়াড়ি জীবনে অবসর নেওয়ার পর কোচিংকে পেশাদার হিসেবে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জামালও নিজের ব্যাপারে তেমনই বলেছেন। তিনি কোর্সের ফাঁকে মিডিয়ার সঙ্গে কথাও বলেছেন। যেখানে হামজা চৌধুরীর বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টারসিটিতে খেলা বাংলাদেশের প্রবাসী ফুটবলার হামজার জাতীয় দলে অভিষেক হতে পারে। জামাল বলেন, ‘এর চেয়ে বড় সুসংবাদ আর হতে পারে না। আমরা হামজার মতো খেলোয়াড়কে পাচ্ছি।
তবে দেশের ফুটবল বদলে দিতে হামজার মতো আরও ৩-৪ জন খেলোয়াড় থাকা জরুরি। কর্মকর্তারা এখন থেকেই যেন প্রবাসী ফুটবলারদের সন্ধানে নামেন, এ ব্যাপারে তাগাদা দেন জামাল।