বাফুফের কর্মকর্তারা যখন কথা বলেন, মনে হয় তাদের চেয়ে দক্ষ সংগঠক আর নেই। যা চাইবেন তাই হবে। বাস্তবে তাদের দৌড় যে কতদূর আবারও তার প্রমাণ মিলল। যখন প্রীতি ম্যাচের কথা ওঠে তখন তারা যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয় শক্তিশালী দল আনাটা ব্যাপারই না। ১০ জুন এশিয়কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। তার আগে দলের শক্তি যাচাই করতে একটি প্রীতি ম্যাচের কথা আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। বাফুফে সে ব্যবস্থা করেছেও। তবে প্রতিপক্ষ বড় কোনো শক্তিশালী দল নয়। আজ ভুটানের বিপক্ষেই জামাল ভূঁইয়ারা প্রীতি ম্যাচ খেলবেন। যেখানে হামজা, সামিতের মতো বড়মানের খেলোয়াড় রয়েছেন। সেখানে কী প্রকৃত শক্তি যাচাই করা যাবে। কথা বলার সময় কর্মকর্তারা বড় বড় দলের কথা বলেন। অথচ ঘুরেফিরে দেখা যাচ্ছে, হয় ভুটান, কম্বোডিয়া না হয় লাওস প্রতিপক্ষ হচ্ছে। কাজে নয়, কথায় চ্যাম্পিয়ন কর্মকর্তারা। সব আমলেই একই অবস্থা।
ভুটান দল সোমবারই ঢাকা এসেছে। গতকাল কোচ ও অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দুজনা অভিন্ন সুরে যা বলেছেন, তাতে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা খুশি হতে পারেন। কোচ আতসুসিনাকামুরাও অধিনায়ক ও নিমাওয়াংডি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল না। তার পরও বলব, এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবার সেরা বাংলাদেশ। হামজা, সামিত ও ফাহামিদুল যোগ দেওয়ায় বাংলাদেশের দারুণ শক্তি বেড়েছে। যা সাফের কারোর নেই। আজকের ম্যাচ সম্পর্কে কোচ অতীত টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশকে হারানোর রেকর্ড রয়েছে। ম্যাচে সাধ্যমতো চেষ্টা করব রুখে দেওয়ার। যদি ড্রও হয় তাতেও আমি খুশি।