অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে। মোহামেডানও সিদ্ধান্ত বদল করে তাদের খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সব সমস্যা সমাধানে জাতীয় দল প্রস্তুতি নিতে পারবে। হংকং চায়নার বিপক্ষে ৯ অক্টোবর ঢাকায় লড়বেন জামাল ভূঁইয়ারা। ১৪ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হংকং উড়ে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য দুটি ম্যাচই জামালদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চূড়ান্ত পর্বের সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে দুই ম্যাচই জিততে হবে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পুরোদমে অনুশীলন শুরু হয়ে গেল।
১৯৮০ সালে একবারই বাংলাদেশ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল। এরপর শুধু ব্যর্থতা। ৪৫ বছর পর আশা জেগেছে এশিয়ান ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলার। আর তা হামজা, সামিত ও ফাহমিদুলকে কেন্দ্র করে। হংকংয়ের বিপক্ষে আরেক প্রবাসী জায়ান আহমেদের অভিষেক হতে পারে। প্রবাসীরা যোগদানের পর ফুটবল নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন তারা থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ যদি ব্যর্থতা না কাটাতে পারে তাহলে তো হতাশার আর শেষ থাকবে না।
হংকং ম্যাচ যেমন বাংলাদেশের বাঁচা-মরার। তেমনি হাভিয়ের কাবরেরার টিকে থাকার লড়াই। হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওপরই ভাগ্য নির্ভর করছে তার। জিতে গেলে তো টিকে গেল কাবরেরা। হারলেই তার বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। তার কোচিংয়ে বাফুফের অধিকাংশ সদস্যই অসন্তুষ্ট। নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য কানন ও শাহীন প্রকাশ্যে তার কাজের সমালোচনা করেছেন। অযোগ্যও বলা হয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর কাবরেরাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। নতুন কাউকে খুঁজে না পাওয়ায় তিনি টিকে গেছেন। বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেছেন, হংকং ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে কাবরেরা দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কি না। অর্থাৎ হংকংই হতে যাচ্ছে কাবরেরার শেষ সুযোগ। গুঞ্জন রয়েছে দুটি ম্যাচ খেলেই হামজা বুঝে গেছেন হাভিয়ের কাবরেরা কেমন মানের কোচ। তিনি নাকি একজন যোগ্য কোচ নিয়োগের অনুরোধ রেখেছেন বাফুফের কাছে। এমনকি টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরও নাখোশ হামজা। এসব যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে তো নতুন কোচ আসাটা এখন শুধু অপেক্ষা। এখানে হামজার অনুরোধ বলেই কথা। তারপরও সভাপতি শেষ সুযোগ দিচ্ছেন কোচকে।
সবকিছু মিলিয়ে চ্যালেঞ্জে বন্দি কাবরেরা।