সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। তারপরও অ্যাশেজের শেষ টেস্টে কিন্তু উত্তেজনার কমতি নেই। বরং প্রথম টেস্টের তুলনায় উত্তেজনার পারদ খানিকটা বেশিই। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ, আর ইংল্যান্ড চায় লজ্জা থেকে রক্ষা পেতে। সিডনি টেস্টের প্রথম দিনে শুরুটা ভালোই করেছিল ইংলিশরা। মাত্র ৯৭ রানে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে ম্যাচের লাগামটা প্রায় টেনেই ধরেছিলেন। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ব্রাড হাডিন ও স্টিভ স্মিথ ১২৮ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। হাডিন ৭৫ রানে আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন স্মিথ। তাদের এই জুটিতে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষ ছয় ওভার ব্যাট করে ৮ রান করলেও ওপেনার কারবারির উইকেটটি হারিয়েছে ইংল্যান্ড। কাল ব্যাটিংয়ের শুরুতেই যেন অনেক ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন অসি ব্যাটসম্যানরা। ইংলিশ বোলারদের যেন পাত্তাই দেবেন না - এমন ভাব ছিল সবার মাঝেই। ব্রড-অ্যান্ডারসনকে খানিকটা সমীহ করলেও অন্য বোলারদের যেন পাত্তাই দিচ্ছিলেন না তারা। আর এই আগ্রাসীভাবের কারণেই প্রথম সেশনে বড় একটা ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। লাঞ্চ ব্রেকের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৫ রান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই পড়ে যায় পঞ্চম উইকেট। অবশ্য ৯৭ রানে ৫ উইকেট পতনের পরও ক্লার্কদের রান রেটে কিন্তু ভাটা পড়েনি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় হাডিন ও স্মিথ। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে ফেরান স্মিথ। অসি তারকার টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি। ১৫৪ বলে ১৭টি বাউন্ডারি এবং এক ছক্কায় ১১৫ রান করেন তিনি। চলতি সিরিজে পার্থ টেস্টেও একটা শতক হাঁকিয়েছেন স্মিথ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, স্মিথের প্রথম সেঞ্চুরিটিও অ্যাশেজ সিরিজেই, ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে ওভাল টেস্টে পাওয়া। সিডনিতে সেঞ্চুরির পর স্মিথ বলেন, 'এটি আমার খুবই পছন্দের জায়গা। এখানে খেলতে সবসময় আমি খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে দলের বিপর্যয়ের সময় সেঞ্চুরি করতে পেরে ভালোই লাগছে। এখন আমাদের দল ভালো অবস্থানে।' তবে স্মিথের উজ্জ্বলতায় শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৩২৬ রানের স্কোর করলেও সিডনি টেস্টের প্রথম দিনটি কিন্তু ইংলিশ বোলার বেঞ্জামিন স্টোকসের। এই মিডিয়াম পেসার কাল নিয়েছেন ছয় উইকেট। দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকা দুই অসি ব্যাটসম্যান ব্রাড হাডিন ও স্টিভ স্মিথকে তো তিনিই ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া ওপেনার ক্রিস রজার্স এবং অধিনায়ক ক্লার্ককেও দ্রুত বিদায় করে দিয়েছেন তিনি। শেষ দিকে বোকা বানিয়েছেন রায়ান হ্যারিস ও পিটার সিডলকে।