আজ দেশে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারও হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিবারই প্রচার অভিযান তুঙ্গে থাকে। কিন্তু এবারের নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচার অভিযান তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করাতে ভোট লড়াইয়ে জৌলুস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার অধিকাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং আকর্ষণ বলতে যা বোঝায় এ নির্বাচনে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যবার দেখা যেত এলাকায় প্রচার অভিযানে অনেক প্রার্থীই জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদদের ব্যবহার করতেন। কোনো কোনো আসনে তারকা ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রীতিম্যাচের আয়োজন করতো। ম্যাচ শেষে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদরা প্রার্থীর জন্য এলাকাবাসীর কাছে ভোট চাইতেন।
সত্যি বলতে কি জনপ্রিয় তারকারা প্রচারে অংশ নেওয়াতে অনেক প্রার্থীর অবস্থানই মজবুত হয়ে যেত। এবারে ঢাকাসহ দেশের যে কটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে প্রচার অভিযানে ক্রীড়াবিদদের দেখা যায়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ বয়কট করলেও সেই নির্বাচনে বিনপির কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষে ক্রীড়াবিদরা প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। অথচ ক্রিকেট ও ফুটবলে বেশ ক'জন তারকা প্রার্থী হওয়ার পর তাদের সমর্থনে ভোট চাইতে এবার ক্রীড়াবিদদের দেখাই মেলেনি। অথচ যেসব ক্রীড়াবিদের এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনেকে ভোট দিতে চলে গেছেন। দেশের কজন তারকা ক্রিকেটার জানালেন বিএনপি অংশ নিলে ভোট যুদ্ধ জমে উঠত। কিন্তু দেশের নাগরিক হয়ে ভোট না দিয়ে থাকতে পারি না। তাই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও এলাকায় ভোট দিতে চলে এসেছি। কাকে ভোট দেব, তা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো কেন? জাতীয় দলের জনপ্রিয় এক ফুটবলার ভোট দিতে গতকালই ঢাকা ছেড়ে নিজ এলাকায় পেঁৗছেছেন। তিনি বলেন, ভোট আমার নাগরিক অধিকার। সুতরাং এ থেকে নিজেকে তো আর বঞ্চিত করতে পারি না। তবে এটা ঠিক, প্রচার অভিযানে এবার যেমন ক্রীড়াবিদদের দেখা মেলেনি তেমনিভাবে অনেকে আবার ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে কেউ নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেছেন, কি যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে তাতো আপনারা দেখছেন। এই অবস্থায় ঝুঁকি নেওয়াটা কি ঠিক হবে। যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তখন কি কেউ এগিয়ে আসবেন?