যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। এরই মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে দেশটি। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে আইসিসি থেকে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলবে দেশটি। তার আগে খেলবে টি-২০ বিশ্বকাপ। যা এ বছরের ১৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বসবে বাংলাদেশে। দুই দুটি বড় টুর্নামেন্ট খেলার আগে আরও একটি সুসংবাদ যোগ হয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির সঙ্গে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি-৮ মার্চ পর্যন্ত এশিয়া কাপের যে ১২ নম্বর আসরটি বসছে বাংলাদেশে, তাতে পঞ্চম দল হিসেবে খেলবে আফগানিস্তান। এই প্রথম এশিয়া কাপের বড়দের আসরে খেলবে দেশটি। আইসিসি সহযোগী দেশটিকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম স্তম্ভ মাশরাফি বিন মর্তুজা।
টি-২০ বিশ্বকাপের পুরুষ বিভাগে মোট ১৬টি দেশ অংশ নিবে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলসহ মোট ১০ দল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল খেলবে সরাসরি এবং বাকি দুই দল নির্ধারিত হবে বাছাই পর্বে আইসিসির ৬ সহযোগী দেশের সঙ্গে লড়াই করে। দুই টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে খেলবে বাছাই পর্বে এবং ১৬ মার্চ টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। চূড়ান্ত পর্বে জায়গা নিতে মাশরাফিদের প্রবল প্রতিপক্ষ আইসিসি সহযোগী দেশটি। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আগেই এশিয়া কাপে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের সংযোজনকে স্বাগত জানানো টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, 'আফগানিস্তানের সংযোজনকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তারা বড় আসরে ক্রিকেট খেলবে। এটা তাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আর আমাদের জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে আমি পজেটিভ ও নেগেটিভ দুইভাবেই দেখছি। পজেটিভ হচ্ছে, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আমরা তাদের সঙ্গে খেলে আগাম রিহার্সেলটা সেরে নিতে পারব। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো সুযোগ। নেগেটিভ বিষয় হচ্ছে, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে তারা আমাদের কন্ডিশন, উইকেট সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা নিয়ে নিবে। তারপরও আমি মনে করি আমাদের জন্য ভালোই হয়েছে।'