ফুটবলের সেই তৃতীয় শক্তি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এক সময়ে তাদের বিপক্ষে খেলা মানেই প্রতিপক্ষদের হাত-পা কাঁপা। মোহামেডান-আবাহনীরও দুশ্চিন্তার শেষ থাকত না। এখন সেসব স্মৃতিই বলা যায়। সত্যি বলতে কি ব্রাদার্সের জয়টাই বিস্ময় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল তারা পেশাদার ফুটবল লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে মুখোমুখি হয়। এক সময় লিগে ব্রাদার্সের সামনে ধানমন্ডি দাঁড়াতেই পারত না। কালের বিবর্তনে সেদিন আর নেই। শক্তির বিচার করলে দুই দলের পার্থক্য এখন আকাশ-পাতাল। এবারতো শেখ জামালের সামনে ব্রাদার্সকে শিশু বললেও অবিচার করা হবে না। একদিকে দেশ সেরাদের ভরপুর অন্যদিকে তরুণ অচেনাদের সমাগম। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলপ্রেমীদের ধারণা ছিল টানা দুই ম্যাচে টপফেবারিটদের জয় পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। হয়েছেও তাই, ব্রাদার্সকে ৪-১ গোলে হারিয়ে মামুনুলরা ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে সমানসংখ্যক ম্যাচে ব্রাদার্সের সংগ্রহ শূন্য। তবে প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর কাছে হারলেও গোপীবাগ দলটির মধ্যে ছন্দ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। পুরো ম্যাচে যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করে তাতে আবাহনীর কাছ থেকে পয়েন্ট না কাড়াটা বিস্ময়ই মনে হয়েছে।
জয় পেলেও শেখ জামাল যে খুব ভালো খেলেছিল তাও বলা যাবে না। হালকা মেজাজে খেলেই ব্রাদার্সকে দাবিয়ে রেখেছিল। সূচনা ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ব্যবধান ৩-১ হলেও দেশসেরা তারকাদের প্রচুর ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ জামাল গোছানো ফুটবল খেলেছে। শুরু থেকেই চাপিয়ে খেলে ব্রাদার্সকে দিশেহারা করে রাখে। প্রথমার্ধেই ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। জয়ের নায়ক ছিলেন দলের নাইজেরিয়ান ফুটবলার ডার্লিংটন। ১৮ মিনিটেই তার গোলে এগিয়ে যায় ধানমন্ডি। ৯ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে ইউসুফ ব্রাদার্সের পক্ষে সমতা ফেরান। ব্যাস, এরপর আর তাদের খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ৩৩ মিনিটে ডার্লিংটন পুনরায় দলকে এগিয়ে রাখেন। দুই মিনিট পরই ব্রাদার্সের জালে বল স্পর্শ করে ডার্লিংটন হ্যাটট্রিকপূর্ণ করেন। এটি এবার লিগে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। শেখ রাসেলের মিঠুন লিগের উদ্বোধনী ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন। ৮১ মিনিটে ওয়েবসন শেখ জামালের পক্ষে শেষ গোলটি করেন।