নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। তখন অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটের খেলা চলছিল। ম্যাচে ২-২ গোলে সমতা। দর্শকরা ড্রই ধরে নিয়েছিলেন। শেষ বাঁশি বাজানোর জন্য প্রস্তুত রেফারিও। ঠিক মাঝমাঠে বিজেএমসির মিডফিল্ডার আবদুল্লাহ পারভেজের পায়ে বল। মোহামেডানের গোলরক্ষক মামুন খান অলসভাবে এক পা দুই পা করে পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসলেন। আর এই সুযোগে মাঝমাঠ থেকেই লম্বা করে কিক করলেন আবদুল্লাহ পারভেজ। মামুন খানের মাথার ওপর দিয়ে বল জড়িয়ে যায় মোহামেডানের জালে। পারভেজের বিস্ময়কর এই শটে ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিজেএমসি। আর এতেই লিগ শিরোপা জেতার আশা সাদাকালোদের প্রায় ম্লান হয়ে গেল। লড়াইয়ে প্রথমার্ধে লড়াইয়ে ছিল সমতা। একটি করে গোল করে দুই দলই। গোল দুটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। ১৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বিজেএমসি। ৩০ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ওয়াহেদের করা গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। তারপর ৮১ মিনিটে ও শেষ মিনিটের নাটকের পয়েন্ট হারায় সাদাকালোরা। ১৫ মিনিটে মোহামেডানের বক্সে ইসমাইল বাঙ্গুরাকে ফাউল করেন বায়েবেক। রেফারি জসিম উদ্দীন পেনাল্টির নির্দেশ দিলে বাঙ্গুরা শটে গোল করেন। ৩০ মিনিটে বিজেএমসির ডিফেন্ডার রনি নিজেদের বক্সে ফাউল করেন মোহামেডানের মিডফিল্ডার জঙ্গুকে। আবার পেনাল্টির নির্দেশ। ডেমিয়েন পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা আনেন। কাল দেশসেরা স্ট্রাইকার এমিলিকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান। তারপরেও একের পর এক আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় বিজেএমসির ডিফেন্স। ৪৭ মিনিটে সংঘবদ্ধ আক্রমণ। বিজেএমসির ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে গেলে বল চলে যায় মোহামেডানের ওয়াহেদের কাছে। তিনি ত্বরিত গতিতে বলে শট নিয়ে তা বিজেএমসির জালে জড়িয়ে যায়। ৮১ মিনিটে সমতা ফেরায় বিজেএমসি। ডান পাশ থেকে আবদুল্লাহ পারভেজের মাপা ক্রস। দুর্দান্ত হেডে গোল করেন স্যামসন। একটি গোল করলেও কাল দুই দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মোহামেডানের ওয়াহেদ। ৪৮ মিনিটে তার দুর্বল শট লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৫৮ মিনিটেও অমার্জনীয় একটি ভুল করেন তিনি। মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টা বল নিয়ে ঢোকেন বিজেএমসির ডি-বক্স গোলরক্ষক হিমেলকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন ওয়াহেদ। তার ডান পায়ের দুর্বল কিক প্রতিপক্ষের গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়। এছাড়া কাল আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছে সাদাকালোরা। আর সহজ সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হলো পয়েন্ট হারিয়ে।