* বাংলাদেশে অ্যাথলেটিক্সে আগের মতো জোয়ার নেই কেন?
মিমু : দেখেন জোয়ার হয়তো আগের চেয়ে কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু আমি বলব ক্রীড়ামোদীরা অ্যাথলেটিক্স থেকে দূরে সরে যাননি। কোনো টুর্নামেন্ট হলে এখনো প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে।
* জনপ্রিয়তা থাকলেও আপনাদের মতো মানসম্পন্ন অ্যাথলেটের দেখা মিলছে না কেন?
মিমু : কে বলে মানসম্পন্ন অ্যাথলেটের অভাব। বর্তমানে যে জুনিয়ররা রয়েছে তাদের ব্যাপারে আমি দারুণভাবে আশাবাদী। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দেওয়া হলে তারা অবশ্যই দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।
* সুবিধা বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
মিমু : আমরা যখন খেলতাম তখন অনেক সার্ভিসেস দল ছিল। সত্যি বলতে কি ওই সময় পারিশ্রমিক ছিল সন্তোষজনক। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য খেলোয়াড়দের কোটাও নির্ধারিত থাকত। এখন হাতে গোনা সার্ভিসেস দল বলে পারিশ্রমিকও মিলছে না। ভালো খেললে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে সেই সুযোগও নেই। এসব সুবিধা চালু হলে মানসম্পন্ন অ্যাথলেটের কমতি থাকবে না।
* দেশের অ্যাথলেটিক্সের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু বলুন?
মিমু : আমিতো হতাশ হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। দেশে ক্রিকেট, ফুটবল ও হকিকে যে ফ্যাসেলিটিজ দেওয়া হয় সে তুলনায় অ্যাথলেটিক্স কি পাচ্ছে বলেন। প্রতিবছরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুদান ও সামান্য কিছু স্পন্সরশিপে এ খেলা এগিয়ে চলেছে। এ অবস্থায় পুরুষ বা মহিলা অ্যাথলেটরা যা করছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট।
* এরচেয়ে বেশি আপনি কি চান?
মিমু : ফান্ড চাই। বড় ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। প্রতিটি দেশের সরকারই অ্যাথলেটিক্সে দীর্ঘমেয়াদি স্পন্সরশিপের ব্যবস্থা করে থাকে। আমাদের দেশে এ ধরনের উদ্যোগ নিলে আমি বলব অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে অ্যাথলেটিক্সে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।