বিশ্বকাপ ফুটবলে চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ নেই। কবে খেলবে তারও কোনো ঠিক নেই। অনেকে আবার বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কখনো খেলা সম্ভব নয়। যাক, বিশ্বকাপ খেলুক আর নাইবা খেলুক। উন্মাদনা কি কম আছে? বিশ্বকাপ এলেই সারা দেশে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা ভরে যায়। জার্সি কেনার হিড়িকও পড়ে যায়। এবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় এসব ছবি ও প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর অনেকে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশে যে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপ খেলা অনেক দেশগুলোতে নেই। বিশেষ করে যে দুটি দেশকে নিয়ে বাংলাদেশ উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে সেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাতেও এমন উত্তেজনা দেখা যায় না। পেলে ও ম্যারাডোনাকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ মূলত দুই দেশকে নিয়ে নাচানাচি করে। প্রতিবারের মতো এবারও প্রত্যাশা বিশ্বকাপে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হোক। এবার কিন্তু প্রত্যাশাটা আরও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমিরা অপেক্ষায় রয়েছেন আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ফাইনালে ম্যাচ দেখার।
ফাইনালে যাবে কিনা, এটা পরের ব্যাপার। আপাতত দুই দলের সমর্থকরা উল্লাসে মেতেছেন গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ঘিরে। নেইমারের ব্রাজিল ৩-১ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করেছে। শুধু তাই নয় নেইমারকে ঘিরে ব্রাজিল ভক্তদের যত আশা সেই নায়কের পা দিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে দুই গোল এসেছে। যদিও প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলকে পুরোপুরি ব্রাজিলরূপে দেখা যায়নি। তারপরও জয়তো পেয়েছে এতেই তৃপ্ত ভক্তরা। ব্রাজিলের পর এবার আর্জেন্টিনার পালা। রাত পোহালেই তারা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বসনিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পুরো দেশ জুড়েই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা পতপত করে উড়ছে। কিন্তু এনিয়ে কারো সংশয় থাকার কথা নয় যে, বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থনই বেশি। এর একটার কারণ দিয়াগো ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে তার জাদুকরি নৈপুণ্য দেখেই বাংলাদেশে স্রোতের মতো বাড়তে থাকে আর্জেন্টিনার সমর্থকের সংখ্যা। আর্জেন্টিনা জিতলে উৎসবে মাতোয়ারা। আর হারলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না। স্বপ্নের নায়ক এবার লিওলেন মেসিকে ঘিরেই যত আশা। যদিও বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার চারটি হারের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ বসনিয়া এতটা দুর্বল যে ম্যাচে অঘটন ঘটার কোনো শঙ্কা নেই বলে ফুটবল পন্ডিতরা ধারণা করছেন। তারপরও খেলায় নিশ্চিত বলে কোনো শব্দ নেই। যা হোক প্রিয় আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের মিশন শুরু করছে তাই রাত পোহালেই দেখা যাবে ফুটবলপ্রেমিদের উৎসব।