বিশ্বকাপ শুরুর দুই দিন আগেই ঘটে বিপত্তি। অনুশীলনে পায়ে ব্যথা পান ব্রাজিলের প্রাণ ভোমরা নেইমার। দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ থেকে প্রেসিডেন্ট দিলমা রোসেপ। শেষ পর্যন্ত নেইমার যদি খেলতে না পারেন তাহলে তো ব্রাজিলের হেক্সা শিরোপার স্বপ্ন শেষ! আর ব্রাজিল ঘরের মাঠে ভালো না করতে পারলে বিক্ষোভকারীরা নতুন করে বিক্ষুব্ধ হবেন! অবশেষে সাধারণ মানুষ ও প্রেসিডেন্টের চিন্তার অবসান ঘটেছে। নেইমার প্রথম ম্যাচেই খেলেছেন এবং বাজিমাৎ করেছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে একাই দুই গোল। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত অভিষেক ফুটবলের এই নিউ সেনসেশনের। হয়তো প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের জয়টা সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি, কিন্তু নেইমারের পারফরম্যান্সে সবাইকে মুগ্ধ করেছে। নেইমারকে ঘিরেই ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বপ্নে বিভোর ব্রাজিলিয়ানরা।
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ১১ মিনিটেই ডিফেন্ডার মার্সেলোর আত্দঘাতী গোলে যখন ব্রাজিল পিছিয়ে পড়ে তখন সাও পাওলোর অ্যারেনা ক্যারিন্থিয়ানস স্টেডিয়ামে পীনপতন নীরবতা। কিন্তু নীরবতার সমাপ্তি ঘটান নেইমার। ডি-বঙ্রে বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন। তারপর দ্বিতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। যদিও পেনাল্টির ওই গোল নিয়ে বিতর্ক আছে। ক্রোয়েশিয়ার ডি-বঙ্রে মধ্যে ফ্রেড পড়ে যাওয়ার ভান করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন জাপানি রেফারি নিশিমুরা। তাতে কি? পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও নেইমারের সামর্থ্য নিয়ে কারোর মনে সন্দেহ নেই। বরং বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে জোড়া গোল পাওয়ায় এখন বিশ্বকাপের বড় বিজ্ঞাপন হয়ে গেছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।