বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন পর্তুগিজবাসী। ব্রাজিল, অর্জেন্টিনা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস থাকার পরও অন্যতম ফেবারিট হিসেবে ধরা হয়েছিল পর্তুগালকে। কিন্তু সেই পর্তুগাল এখন ছিটকে পড়ার রাস্তায়। প্রথম ম্যাচে জার্মানির কাছে নাকাল হওয়ার পর পরশু ভোরে কোনোরকমে মান বাঁচিয়েছে। শেষ মিনিটের গোলে ড্র করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। দুই ম্যাচে রোনালদোর দলের পয়েন্ট এক। টানেলের শেষ প্রান্তে আলো দেখার মতো এখনো সুক্ষ্ন একটি সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য হারাতে হবে শক্তিশালী ঘানাকে। কিন্তু দলের যে পারফরম্যান্স, তাতে ঘানার ব্যারিয়ার টপকানো অসম্ভবই রোনালদোদের। এমন দল নিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাও অনেক বেশি, স্বীকার করেছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার। বলেছেন, পর্তুগাল একটি মাঝারিমানের দল।
পর্তুগালের একজনই তারকা; রোনালদো। তাকে ঘিরেই সব স্বপ্ন। কিন্তু বাস্তব যে অনেক কঠিন, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন রিয়াল তারকা। বুঝেছেন বলেই জানিয়েছেন এমন দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয় পর্তুগালের, 'পর্তুগাল মাঝারিমানের দল। এ দল নিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের কথা সম্ভব নয়। প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে দলের। এমন দল নিয়ে বড় দলগুলোকে হারানো সম্ভব নয়।' বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই ফিটনেস ঝামেলায় ভুগছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে পর্তুগাল, তার একটি খেলেননি এবং অন্যটিতে পুরো সময় মাঠে ছিলেন না। মূল আসরে জার্মানির বিপক্ষে পুরো সময় খেললেও আলো ছড়াতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলা নিয়েও সংশয় ছিল। কিন্তু খেলেছেন এবং মান বাঁচিয়েছেন শেষ মুহূর্তে গোলে সহায়তা করে। দলের ব্যর্থতার জন্য নিজের ফিটনেসকে দায়ী করেননি, 'ফিটনেস দিয়ে আমি পারফরম্যান্সের বিচার করছি না। আমি সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েই খেলতে চেষ্টা করেছি। ফিটনেসের অজুহাতের কথা বলার কোনো মানে হয় না। এখানে সবাই এসেছে জিততে।' এ নিয়ে তিনবার বিশ্বকাপ খেললেন রোনালদো। ২০০৬ সালের প্রথম আসরে সেমিফাইনাল খেললেও পরে দুই আসরে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ দুই আসরেই তিনি ছিলেন তারকাদের তারকা।