দেশের সুপরিচিত ফুটবল কোচ মারুফুল হককে এক বছরের নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। পেশাদার লিগ কমিটির পদত্যাগ করা উচিত মূলত এ বক্তব্যই এত বড় শাস্তি। এই শাস্তির কারণে তিনি এক বছর বাফুফের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। এখন যদি লিগ কমিটি তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি অটল থাকে তাহলে সামনের মৌসুমে মারুফ কোনো দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। গত মৌসুমে শেখ রাসেলকে তিনটি ট্রফি এনে দিলেও এবার ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপে বাজে পারফরমেন্সের কারণে মারুফকে কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় শেখ রাসেল। বেশ কিছুদিন বসে থাকার পর শেখ জামাল ফুটবলের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।
জোসেফ আফুসি চলে যাওয়ার পর তিনিই দলের দেখাশোনা করেন এবং শেখ জামালকে চ্যাম্পিয়নও করান। এক বছর নিষিদ্ধ হওয়াতে মারুফ স্বাভাবিকভাবে আসন্ন মৌসুমে দলের কোচের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
শেখ জামাল তাহলে কি কোচ সংকটে পড়ে গেল? এ ব্যাপারে ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের বলেন, মারুফ যে লিগ কমিটির পদত্যাগ চেয়েছিল তা আমি জানতাম না। বিষয়টি কর্মকর্তাদের আঘাত করার মতোই। মারুফের সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি স্বীকার করে তার এ বক্তব্যের কথা। ঘটনাটা শোনার পরই বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কিসের ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়া হলো। তিনি আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন লিগ কমিটির নিয়ম-নীতি আছে। যা মানতে পারেননি কোচ মারুফ। প্রকাশ্যে বক্তব্য না দিলেই পারতেন। শাস্তি ব্যাপারটি পুরোপুরি লিগ কমিটির। এখানে বাফুফের করার কিছুই নেই। কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি লিগ কমিটি বা বাফুফের সঙ্গে তর্কে জড়াতে চাই না। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মারুফ অবশ্যই ভুল করেছে। কিন্তু ভুলটা আবার এত বড় নয় যে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা। কোন প্রেক্ষাপটে বা কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে মারুফ বক্তব্য দিয়েছিল সেটাও বিবেচনায় আনা উচিত ছিল। তাই শাস্তি না দিয়ে শেষবারের মতো সতর্ক করলেই চলত। মারুফ না থাকলে দলে কে কোচ হবে? কাদের বলেন, এ নিয়ে আমি মোটেই বিচলতি নই। ভালোমানের প্রশিক্ষককেই নিয়োগ দেবে। তাছাড়া মারুফ যদি আপিল করেন তার এ শাস্তিতো প্রত্যাহারও হতে পারে। আসলে সময়ই বলে দেবে সবকিছু।