জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ বল হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে। অসিদের করা ৩২৭ রানকে টপকে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিল প্রোটিয়ারা।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে অসিরা ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের শতকে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে তোলে ৩২৭ রান।
২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা ফিঞ্চ তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নিতে একটি ছক্কা হাঁকালেও ৯টি চার মারেন। ১১৬ বলে ম্যাকলারেনের বলে ডুমিনির হাতে ধরা দেওয়ার আগে করেন ১০২ রান। আরেক ওপেনার ফিলিপ হিউজ করেন ৫১ রান। দুই ওপেনার জুটি গড়েন ৯২ রানের।
এছাড়া অসিদের হয়ে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক জর্জ বেইলি করেন ৬৬ রান। ৫৪ বলে তিনটি ছয় আর সমান চারে সাজানো বেইলির ইনিংস।
মাত্র ১৯ বলে ৩১ রান করেন স্টিভেন স্মিথ। তবে, ব্যাটে ছোট একটি ঝড় তুলেছিলেন মিচেল জনসন। ৮ বলের মোকাবেলায় এক চার আর দুই ছয়ে ২৩ রান করেন জনসন। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মরনে মরকেল, ম্যাকলারেন ও ইমরান তাহির।
৩২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের দুই ওপেনার দলীয় ৫১ রানে বিদায় নেন। বিদায় নেওয়ার আগে ডি কক করেন ১৯ রান এবং আমলা করেন ২৪ রান।
তবে এরপরই ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা। শতক করেন তিন নম্বরে নামা ফাফ ডু প্লেসিস এবং চার নম্বরে নামা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। এ দুজন মিলে জুটি গড়েন ২০৬ রানের। ফাফ ডু প্লেসিস নিজের প্রথম শতক তুলে নেন। ৯৮ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলতে তিনি ১১টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন।
১০৬ বল মোকাবেলা করে ভিলিয়ার্স করেন ১৩৬ রান। অপরাজিত থাকা ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের এটি ১৮তম শতক। ১১টি ছয়ের সঙ্গে তিনি ২টি ছয় মারেন। এছাড়া ২৯ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন জেপি ডুমিনি। ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
অসিদের হয়ে দুটি উইকেট পান মাইকেল স্টার্ক। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ডি ভিলিয়ার্স।