বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন ওয়ানডের সেরা বোলার পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমল। এবার পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-২০তেও খেলা হচ্ছে না তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার জন্যই যে, ফয়সালাবাদ উলফসের এই তারকা খেলছেন না, তা নয়! বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বলেই তিনি খেলছেন না। এ সময় আজমল একান্তভাবে সময় দেবেন নিজের বোলিং অ্যাকশনের দিকে। লাহোরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে নিবিড়ভাবে নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মুখপাত্র বলেন, 'আজমলের এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। এটা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এ কারণেই তিনি ঘরোয়া লিগে খেলতে পারবেন না। যদিও ঘরোয়া তার খেলার ব্যাপারে কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা নেই। একাডেমিতে আজমল নিবিড়ভাবে অনুশীলন করছেন। সাকলাইন মুস্তাকের অধীনে তিনি অনুশীলন করবেন।' এদিকে ফয়সালাবাদ উলফস তাদের টি-২০ দলে আজমলকে রেখেছেন। কিন্তু আজমলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পর পিসিবি ফয়সালাবাদকে অনুরোধ করেছে, যাতে ক্লাবটি তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এ সময়ে যাতে সাকলাইন মুস্তাকের অধীনে নিজের ভুলত্রুটি শুধরানোর সুযোগ পান আজমল। বর্তমানে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডের সেরা বোলার সাঈদ আজমল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার সময় তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আইসিসি কর্মকর্তারা।
পরে পরীক্ষা দিতে হয় আজমলকে এবং সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছেন আজমল। তবে আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে হতাশ পিবিসি। কেননা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আর ছয় মাসও বাকি নেই, এই কম সময়ে আজমলের রিপ্লেসমেন্ট পাওয়াও চাট্টিখানি কথা নয়। তাই বিশ্বকাপের আগেই যাতে আজমল তার বোলিং অ্যাকশনে পরিবর্তন এনে ক্রিকেটে ফিরতে পারেন এ জন্যই জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পিসিবি।