নিজেদের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে নেইমারের জোড়া গোলে বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। লা লিগায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে কাতালানরা। গত ম্যাচে ভিলারিয়ালের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচের পর আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তাই খেলতে পারেননি জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি। তবে বিশ্বকাপের পর কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে ব্রাজিল তারকা নেইমার খেলেছিলেন প্রীতি ম্যাচে।
ক্লাবের হয়ে মেসি-নেইমার জুটিতে ম্যাচের শেষ দিকে জয় তুলে নেয় বার্সা। এ জয়ের ফলে এখন পর্যন্ত অপরাজিত রইল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। ৮০ হাজারেরও বেশি দর্শককে সাক্ষী রেখে মেসি-নেইমার জুটি আবারো প্রমাণ করল তারাই স্পেনিশ সেরা। ম্যাচের প্রথম থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বার্সা। ম্যাচের তিন মিনিটে ও পাঁচ মিনিটে পরপর দুটি আক্রমণ নষ্ট হয়ে যায় বার্সার।
১৩ বছর ধরে লা লিগার কোনো ম্যাচে ক্যাম্প ন্যুতে জয় না পাওয়া অ্যাতলেতিক ম্যাচের ১৮ মিনিটে আবারো গোল হজম করতে বসে। তবে ক্রমেই বার্সার আস্থাভাজন হয়ে উঠা তরুণ তারকা মুনির আল হাদ্দাদির শট লক্ষ্যভ্রস্ট হয়। ম্যাচের ৪৪ মিনিটেও তিনি মেসির পাস থেকে বল পেয়েও গোল আদায় করে নিতে পারেননি।
প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলে গোলশুণ্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে ৫০তম মিনিটে আবারো মুনিরের ব্যর্থতা। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিলেও সেটি অফ-সাইটের কারণে বাতিল বলে ঘোষিত হয়। আর এর দুই মিনিট পরে মেসির বাঁকানো নিচু শটটি প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে আবারো মুনিরের সুযোগ নষ্ট হয়। জরদি আলবাও তুলে মারা বলে হেড করেও অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। এর চার মিনিট পরে এনরিক মুনিরকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে নেইমারকে মাঠে পাঠান।
বার্সাকে অবশেষে গোলের দেখা পেতে হয় ম্যাচের ৭৯ মিনিটে। মেসির পাস থেকে পাওয়া বলে কোনাকুনি শট নিয়ে নিজের প্রথম গোল করেন নেইমার। এর মিনিট পাঁচের পরে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এ তারকা। এবারও মেসি-নেইমার জুটি। অসাধারণ এক পাস দিয়ে নেইমারকে বল বাড়িয়ে দেন মেসি। আর তা থেকে গোল আদায় করে নিতে একটুও বেগ পেতে হয়নি নেইমারের।