বরাবরেই নির্বাচনি ভাগ্য ভালো বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালক আ জ ম নাছির উদ্দীনের। চরম দুঃসময়েও নির্বাচনে জিতেছেন এই ক্রীড়া সংগঠক। আস্থার মুকুট পেয়েছেন বারে বারে। আর বিসিবি'র সহ সভাপতি নির্বাচনেও সেই আস্থার স্বীকৃতি মিলবে বলে আশাবাদী তিনি। মঙ্গলবার নির্বাচনে নিজের আশাবাদ নিয়ে বলেন, ' টানা ৩০ বছর ধরে ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি তার যে ভালোবাসা, দরদ তা বিবেচনা করেই সম্মানিত পরিচালকগণ তাদের মূল্যবান রায় প্রদান করবেন। কেননা, বিসিবি পরিচালকরা প্রত্যেকেই যোগ্য, দক্ষ ও নিবেদিত।
আ জ ম নাছির এক প্রশ্নের জবাবে জানান-'বিজয়ী হলে বোর্ড যে দায়িত্ব দেবে তা স্বচ্ছতা, সততা, বিশ্বাস ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করব।' বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তার করবেন না বলেই বিশ্বাস তার।
বাংলাদেশে টি-টুয়েন্টি ফর্মেটে পোর্ট সিটি ক্রিকেট লিগ (পিসিএল) আয়োজন করে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন আ জ ম নাছির । ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ভেন্যু নির্ধারণেও তার ছিল কার্যকর ভূমিকা। পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রেই ক্রীড়াঙ্গনে সংযুক্ত এ সংগঠকের পিতা ছিলেন চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। আর আ জ ম নাছির চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক । বর্তমানে তিনি এর সভাপতি । তিনি ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের সভাপতিও। নির্বাচন করেই বিজয়ী হন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সাধারণ সম্পাদক তিনি। ২০০৩-এ নির্বাচিত হন সিজেকেএস সহ-সভাপতি। দেশজুড়েই তার কার্যব্যাপ্তি রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এ সভাপতি জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল ফোরামেরও সভাপতি, ফুটবল ফেডারেশনের কাউন্সিলর। বিসিবির এ কাউন্সিলর নির্বাচনের মাধ্যমেই পরিচালক হন। এবার সহ-সভাপতি নির্বাচনের পর কার্যক্রম নিয়ে বলেন, 'বিসিবি ক্রিকেটকে যে মান ও সাফল্যের দরজায় আনতে সক্ষম হয়েছে, তা আরও এগিয়ে নেওয়াই আমদের লক্ষ্য। পরিচালক হিসেবে আমরা সবাই এমনটি বিশ্বাস করি। শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক চিন্তা নয়, দেশের সবকটি জেলায় আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেটার তৈরি করতে পারলেই সাফল্যের ক্ষেত্রে আমরা আরও এগিয়ে যাব। ১৬ সেপ্টেম্বর বিসিবির ২৬ পরিচালক ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন দুইজন সহ সভাপতি। দুই পদের জন্য প্রার্থী রয়েছে তিনজন। আ জ ম নাছির ছাড়াও রয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজিব আহমেদ ও মাহাবুবুল আনাম।