শেষ পর্যন্ত লোডডিক ক্রুইফ এসেছেন। মধ্যরাতে ঢাকা পেঁৗছানোর পর সকালে তিনি বিকেএসপিতে ফুটবলারদের ক্যাম্পে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য প্রথমে সাইফুল বারী টিটুকে জাতীয় দলের প্রশিক্ষক করা হলেও বাফুফে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয় ক্রুইফকে মূল কোচের দায়িত্ব দেওয়ার। অথচ অক্টোবরেই বাফুফে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্রুইফকে অব্যাহতি দেওয়ার। এ নিয়ে ক্রুইফ বকেয়া অর্থ না পেয়ে বাফুফের বিরুদ্ধে যেমন সমালোচনা করেছিলেন তেমনি সালাউদ্দিনও তাকে তিরস্কৃত করেছিলেন। এ অবস্থায় ডাচ কোচকে ফিরিয়ে আনা হবে তা ছিল ধারণার বাইরে। এ ব্যাপারে সালাউদ্দিনের বক্তব্য ছিল দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করাতে বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে তার ভালো ধারণা হয়ে গেছে। তাই বঙ্গবন্ধু কাপে তাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বাফুফে বলছে তিনি শুধু বঙ্গবন্ধু কাপে দায়িত্ব পালন করবেন। তার সঙ্গে নতুন করে আর কোনো চুক্তি হবে না। কাল ঢাকা এসে ক্রুইফ বলেছেন যদি বাফুফে রাজি থাকে তাহলে নতুন করে চুক্তি করতে তার আপত্তি থাকবে না।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানালেন, ক্রুইফকে বঙ্গবন্ধু কাপে আপদকালীন কোচ করা হয়েছে। তার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করার ইচ্ছা আমাদের নেই। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানাচ্ছে ক্রুইফ চলে যাওয়ার পর সালাউদ্দিন নিজে অনেক বিদেশি কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন। একাধিক জীবন বৃত্তান্তও দেখেছেন কিন্তু কাউকে পছন্দ হয়নি। পছন্দ হলেও পারিশ্রমিক নিয়ে বুনাবুনি হচ্ছে না। তাই ক্রুইফ যদি পুরোদমে জাতীয় দলের দায়িত্ব পান তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কেউ কেউ আবার বলছেন নতুনভাবে দায়িত্ব দেওয়া হবে এই শর্তে ক্রুইফ পুনরায় এসেছেন। যাক ক্রুইফকে আনা হয়েছে সাফল্য পেতে। বঙ্গবন্ধু কাপে সেই টার্গেট পূরণ হবে কী! ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। হাতে চারদিন সময় নেই। এই স্বল্পদিনে শিষ্যদের তিনি কি শিক্ষা দেবেন? এ ব্যাপারে দলীয় ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ফুটবলাররা বসে ছিল না, অনেক আগে থেকেই অনুশীলনে আছে। কার কেমন পারফরম্যান্স ক্রুইফের তা ভালোমতো জানা। মধ্যরাতে ঢাকা পেঁৗছানোর পর সকালেই ক্রুইফ বিকেএসপিতে যান। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক করেন। ক্রুইফ বুঝাতে চান বঙ্গবন্ধু কাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো করতেই হবে। বিকালে হালকা অনুশীলন করান খেলোয়াড়দের। আজ প্রশিক্ষণে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্য একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে পারফরম্যান্স যাচাই করে চূড়ান্ত স্কোয়াড গঠন হবে। ক্রুইফ তার শিষ্যদের সাহস জুগিয়ে বলেছেন, গ্রুপে শক্তির বিচারে সেমিফাইনাল যাওয়াটা কোনো ব্যাপারেই নয়। ভালো করে খেলতে পারলে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কাপে ফাইনাল খেলতে পারবে। উল্লেখ্য, ক্রুইফ বাংলাদেশের কোচ হওয়ার পর কোনো সাফল্যই এনে দিতে পারেননি। চ্যালেঞ্জ কাপ ও সাফ চ্যাম্পিয়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এমিলিরা। এখন চারদিনের প্রশিক্ষণে বঙ্গবন্ধু কাপে কি এনে দেবেন তা দেখার বিষয়।