কাকে ধন্যবাদ দিব ব্যাটসম্যান না বোলারদের। সত্যি যদি বলি ম্যাচটা নিয়ে আমি বেশ টেনশনে ছিলাম। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচ হারলে মনোবল কিছুটা হলেও ভেঙে যেত। এর প্রভাব পড়তো গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচে। যাক ভারত ভালোভাবেই পাকিস্তানকে হারিয়েছে এতে আমি খুশি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩০০ রান সংগ্রহ করে। বিরাট কোহলি চমৎকার সেঞ্চুরি করেন। শচীনের অভাবটা তিনি ভালোভাবেই পূরণ করেছেন। বিশ্বকাপে ৩০১ রান টার্গেট যে কোনো দলের জন্য চাপের। তারপরও কেন জানি আমি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারছিলাম না। কারণ প্রতিপক্ষ দলটা পাকিস্তান। এরা যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। বিশেষ করে তারা ভারতের বিপক্ষে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখে। কাউকে ছোট করার জন্য বলছি না, ভারতের বোলিং লাইনটা এবার আমার কাছে ততটা শক্তিশালী মনে হচ্ছে না। আর যেখানে মিসবাহ ও আফ্রিদির মতো ডেঞ্জারম্যান রয়েছে সেখানে যেকোনো বড় টার্গেট অতিক্রম করা সম্ভব।
ভারতের যে ব্যাটিং লাইনআপ তাতে ৫০ ওভারে ৩০০ রান তোলাটা স্বাভাবিক ঘটনাই বলা যায়। একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি শুরুতে পাকিস্তানকে বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। হয়তো বা আগের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বলে বাড়তি চাপে ছিল। অন্যদিকে ধোনিদের মুখে হাসি লেগেই ছিল। সেঞ্চুরি করার জন্য কোহলিকে আগেই ধন্যবাদ জানিয়েছি। ও ব্যর্থ হলে টার্গেট এত বড় হতো না। তবে বেশি করে ধন্যবাদ জানাই বোলারদের। তারা পাকিস্তানকে অলআউট করতে পেরেছে। বিশ্বকাপে ভারত পুনরায় চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা বলা মুশকিল। কিন্তু শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ জয় ভারতকে উজ্জীবিত করবে। ২২ ফেব্রুয়ারি ভারত গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আমি বলব গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের জন্য এ ম্যাচের গুরুত্ব অনেক।