সকাল থেকেই মানুকা ওভালের সামনে ঢাক-ঢোল বাজাচ্ছিল শ' দুয়েক বাঙালি। ঢোল বাজানোর সঙ্গে নাচছেন আর চিৎকার করে বলছেন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ। অন্য সময় হলে সরিয়ে দিতেন স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কর্মীরা। কাল কিন্তু কিছুই করেননি। বরং বাঙালিদের ক্রিকেট পাগলামি দেখে হাসছিলেন। বাঙালিদের উৎসব দেখে যে কারো মনে হবে ক্যানবেরা নয়, যেন খেলা হচ্ছে মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামে। স্টেডিয়ামের আবহ যখন এমন, তখনই ধীরে ধীরে স্টেডিয়ামে ঢুকে পরে মাশরাফিদের টিম বাসটি। প্রিয় ক্রিকেটারদের দেখে তাদের উৎসাহ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। নেচে-গেয়ে স্বাগত জানায় দলকে। সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতি-উত্তর জানান সাকিবরা হাত নাড়িয়ে। অথচ এই উৎসবমুখর পরিবেশ মাটি হতে বসেছিল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। কিন্তু সেটা হতে দেননি বহু ম্যাচ জয়ের নায়ক অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১৪ রান যোগ করে শুধু মানই বাঁচাননি, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে কোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে চার হাজার রানের মাইলফলক গড়েন সাকিব। ১৪২ ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের রান ৪০৪০। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান শুধু কালই টাইগারদের হাল টেনে নিয়ে যাননি। বহু ম্যাচে জয়ের নায়ক দুই ক্রিকেটার জুটি বেধে সর্বোচ্চ ১৭২৫রান করেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তামিম-আশরাফুল জুটির সংগ্রহ ১২৪৮।