ক্যানবেরা থেকে খুশির বারতা নিয়ে হাসি মুখেই ব্রিসবেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মাশরাফিরা। দুরত্ব সাড়ে নয়শ কিলোমিটার। আফগানদের বিরুদ্ধে অমন লড়াকু এক জয় নিশ্চয়ই ক্লান্তিকে ঘেঁষতে দেয়নি। সত্যিই কী তাই! নাকি ঘটনা উল্টো। ব্রিসবেনের পথে বিমানে ওঠার পরই পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল টাইগারদের মুখচ্ছবি। এমন হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। কেননা প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়া তখন আর স্বস্তি থাকে কোথায়! তারপর খেলতে হবে গাব্বার মতো দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে।
ব্রিসবেন ও পার্থ হচ্ছে পেসারদের স্বর্গরাজ্য। এমন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই জমিয়ে তোলাটা চাট্টিখানি কথা নয়। যদিও বাংলাদেশের সমর্থকরা আফগান বধের পর ক্রিকেটের ‘অনিশ্চয়তা’ তত্ত্বকে সঙ্গী করে জয়ের ভাবনায় ডুবে আছেন। বলতে গেলে সবাই, কার্ডিফের সেই ১০ বছর আগের স্মৃতি রোমন্থনে ব্যস্ত! বাস্তবতার ধারে কাছেও যেতে ইচ্ছে করছে না। ভাবনা একটাই, কাল গাব্বা হয়ে যাবে ‘সোফিয়া গার্ডেন’। সেটা কী সম্ভব! এই অস্ট্রেলিয়া বিস্ফোরক এক দল। কয়েক দিন আগে যারা ভারত এবং ইংল্যান্ডের মতো দলকে বার বার হেনস্থা করেছে। এমন দলের বিরুদ্ধে খেলার সাহস দেখানোই তো বড় প্রাপ্তি! কার্ডিফের ওই জয়টা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স নেই । ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত মোট ১৯টি ওয়ানডে খেলেছে দুই দল। কার্ডিফের ঘটনাটা বাদ দিলে প্রতিটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় খেলা সবশেষ তিন ম্যাচে মাশরাফিদের হারের ব্যবধান ৬০ রান, ৯ উইকেট ও ৬৬ রানে। তাই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের চিন্তা মাশরাফি মনে আনবেন না। তার চেয়ে বরং সম্মানজনক হারের কথা চিন্তা করে খেলতে নামলে চাপও কম থাকবে, ভালো করা সম্ভব হবে। গত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে অবস্থা হয়েছিল, তেমন ঘটনা না ঘটুক। ৫৮ ও ৭৮ রানের লজ্জা দুটি না থাকলে সেবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেত বাংলাদেশ। টাইগারদের সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ইংলিশরা। তবে আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ে এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ সামনে এসেছে। এখন স্কটল্যান্ডের পাশাপাশি ইংল্যান্ড কিংবা শ্রীলঙ্কাকে টার্গেট করা উচিত। তিন জয়ের পাশাপাশি বাকি তিন ম্যাচে সম্মানজনক হার থাকলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখাটা বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। তবে শ্রীলঙ্কা কিংবা ইংল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারাতেই পারে। লঙ্কানদের নাড়ি নক্ষত্র আমাদের জানা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটা হবে কোলাহলের শহর সিডনিতে। সেখানকার উইকেটের সঙ্গে উপমহাদেশের উইকেটের অনেক মিল। যেমন স্পিন কাজ করে তেমনি রানে ভরপুর। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ফল যতই খারাপ হোক না কেন তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। আর ভালো হলে তো কথাই নেই। বাস্তবতা কঠিন হলেও কল্পনায় কে না চায়, কালকের ব্রিসবেন হয়ে যাক ১০ বছর আগের সেই কার্ডিফ।
শিরোনাম
- মাদারীপুরে ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
- রাজারহাট বাজার যানজট মুক্ত করার উদ্যোগ প্রশাসনের
- বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন
- হানিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধে কষ্টে ভারতীয়রা, ভিপিএনে খোঁজ
- এনা ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০ গাড়ি জব্দে আদেশ
- স্ত্রীসহ সাবেক কর কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- এলপি গ্যাসের দাম কমেছে
- লিটনকে অধিনায়ক করে আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের দল ঘোষণা
- সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
- নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়
- প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতি না হলে অদক্ষ লোক তৈরি হবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা
- ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার নতুন কমিটি
- যেসব কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা এখনো সুদূর-পরাহত, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রাজধানীতে মাদকসহ দুই কারবারি গ্রেফতার
- ‘বিএনপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে’
- কলাপাড়ায় মানবপাচার রোধে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা
- নিজেকেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন কোহলি
- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্বোধন
- বাংলাদেশে কত তাড়াতাড়ি নির্বাচন, জানতে চেয়েছে রাশিয়া : আমীর খসরু
কার্ডিফের সেই স্মৃতি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর