স্যাঙ্টন ওভালের সৌন্দর্যে মুগ্ধ খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্যারিয়ারে অনেক দেশে ক্রিকেট খেলেছেন। উপভোগ করেছেন সৌন্দর্য। কিন্তু নেলসনের মতো এত আকর্ষণ করেনি কোনো শহর। তাসমান সাগরের তীরঘেঁষা শহরটির রিচম্ল পাহাড়ের পাদদেশে সুন্দর করে সাজানো গোছানো স্টেডিয়ামে আজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের হারালে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে যাবে টাইগাররা। এই স্কটিশদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের অন্য যে কোনো দলের চেয়ে সুখস্মৃতি অনেক বেশি বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। তাই ভুলে যাওয়া কঠিনই। ওই ম্যাচে খেলেছিলেন খালেদ মাহমুদ। এখন টিম ম্যানেজার। স্কটিশদের বিপক্ষে ওই জয়ের কথা জানতে চাইলে সাবেক অধিনায়ক জানান, ক্যারিয়ারে অন্যতম ম্মরণীয় জয় এবং ওই ম্যাচের কথা ভুলবেন না কখনোই।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেবার বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার দিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি স্কটল্যান্ডের। টাইগারদের কাছে ম্যাচটি ছিল মর্যাদার। এডিনবরায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৮৫। এ স্কোর নিয়েই লড়াই করে বাংলাদেশ এবং ২২ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে। ওই ম্যাচে খেলেছিলেন বর্তমান বিশ্বকাপ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। ব্যাটিংয়ে শূন্য রান করলেও বল হাতে ছিলেন সফল। ২৭ রানের খরচে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দীর্ঘ ১৬ বছর ফের লড়াইয়ে নামছে তার দল। স্কটিশদের বিপক্ষে তাই আত্দবিশ্বাসী মাহমুদ বলেন, 'আমাদের দল ভালো শেপে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমরা জিতব।' ১৬ বছর আগের ওই ম্যাচের স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে টিম ম্যানেজার বলেন, 'শুধু আমার নয়, ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যই স্মরণীয়। বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয় ছিল ওই ম্যাচ। ম্যাচ জেতার পর আমাদের যে আনন্দ হয়েছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় জয়।'
'ব্রেভ হার্ট' খ্যাত স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা ম্যাচ খেলেছে তিনটি। একটি বিশ্বকাপে এবং দুটি ঘরের মাটিতে। সব কটিই জিতেছে। তার পরও আজকের ম্যাচ নিয়ে দ্বিধা, সংশয় থাকছেই।