ডেভিড ওয়ার্নার আফসোস হতেই পারেন। আর একটু সাবধান হলে ডাবল সেঞ্চুরিটা কাল হয়েই যেত। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২২ রানের আক্ষেপ নিয়েই তাই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। ১৭৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ দুর্দান্ত ক্যাচটি ওয়ার্নারকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন। আফসোস রয়েছে স্টিভ স্মিথেরও। তিনি সেঞ্চুরি মিস করেছেন মাত্র ৫ রানের জন্য। ৯৫ রানে আউট হলে কার ভালো লাগে বলুন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরও স্বস্তি পাওয়ার কথা নয়। কেননা অসি তারকা ব্যাটসম্যান যে সাইক্লোন গতিতে রান করছিলেন, মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক তিনিই হতে যাচ্ছেন। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলকেও ৮৮ রানে আটকে দেন নবী। ৩৯ বল থেকে অসি তারকা এই রান করেন। তবে এতো আফসোসের দিনেও অস্ট্রেলিয়ার বড় স্বস্তি দলীয় রেকর্ডে। কাল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়েছে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে ৪১৭ রান। এর আগে রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বারমুডার বিরুদ্ধে ৪১৩ রান করেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার বড় স্বস্তি, কাল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়টাও পেয়েছে তারা। আফগানিস্তানকে ২৭৫ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকাতেও শক্ত অবস্থানে স্বাগতিকরা।
কাল শুরুতেই অ্যারোন ফিঞ্চকে আউট করে উল্লাসে মাতেন আফগান বোলাররা। তবে সেই খুশি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে স্মিথের সঙ্গে ২৬০ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েলের দ্রুতগতির ব্যাটিংয়ে ৪১৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। এভারেস্টসম এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানেই গুঁড়িয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।