নেলসনে পা রেখেই নেলসনবাসীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছিলাম। কাল মুগ্ধ হলাম তাদের সম্প্রীতির বন্ধন দেখে। জাত-পাত নেই। নেই ভাষার কোনো মিল। তারপরও ছেলে-বুড়ো সবাই আন্তরিকভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে। তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন বৃথা যায়নি। ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যাননি নিবাসে।
ছোট্ট স্টেডিয়াম। অথচ সুন্দর করে সাজানো। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। গ্যালারি সাকল্যে তিনটি। বাকি সব মাটি দিয়ে বানানো ফ্যান জোন। কাল সেই স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীর সংখ্যা ছিল সাকল্যে ২ হাজার। বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন ৭০০/৮০০। উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়, আহম্মেদ সাজাদুল ববি, টিঙ্কুসহ আরও অনেকেই। সবাই এসেছিলেন দলের জয় দেখতে। তবে দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। মজার হয়েছে তাদের নিয়েই। বাংলাদেশের জার্সি, পতাকা, বাংলায় লেখা 'এগিয়ে যাও বাংলাদেশ' কিংবা 'আমরা জিতবই' স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হৈ হুল্লোড় করেছেন। বিপরীতে অন্যরা সমর্থন দিয়েছেন স্কটল্যান্ডকে। মজা করতে করতে দুই দল অদৃশ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। হুঙ্কার তুলেছেন।
ম্যাচ দেখতে ঢাকা থেকে এসেছেন মহিবুর রায়হান, সাইফুল ইসলাম, গোলাম ফারুক ফটিক, টিটু।