মাশরাফিদের টার্গেট কোয়ার্টার ফাইনাল। বিশ্বকাপে টাইগাররা সে পথেই হাঁটছে। ৯ মার্চ অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই বাংলাদেশ শেষ আটে জায়গা করে নেবে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার পর নেলসনের প্রবাসী বাঙালিরা উল্লাসে নেচেছেন ঠিকই। কিন্তু ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিকদের কাছে টেনশন চেহারায় গতকালও অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন ৯ মার্চ ইংল্যান্ডকে হারানো সম্ভব কি? এ প্রশ্ন শুধু নেলসনে প্রবাসী বাঙালিদের নয় ১৬ কোটি মানুষেরও। আসলে কি হবে অ্যাডিলেডে? মাশরাফিরা কি পারবেন দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে। প্রতিপক্ষ হিসাবে ইংল্যান্ড অবশ্যই শক্তিশালী দল। কিন্তু এবার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারেনি। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাকাউন্টে ২ পয়েন্ট জমা করেছেন ইংলিশরা। প্রশ্ন উঠতে পারে এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশই বা কি আহামরি নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ও বৃষ্টির বদৌলতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে। না, তারপরও বাংলাদেশ যে গতিময় পারফরম্যান্স শো করছে তা ইংল্যান্ডের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। স্কটল্যান্ডের দেয়া ৩১৮ রানের বিশাল টার্গেট সহজে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে চার হাফ সেঞ্চুরি এসেছে। ৬ উইকেটে বিশাল জয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এ ধরনের জয় খুবই জরুরি ছিল। সত্যি বলতে কি এমন জয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেলসন থেকে অ্যাডিলেডে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে তামিম বলেছেন, এ জয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুপ্রেরণা যোগাবে। হ্যাঁ, আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাডিলেডে নামবে ঠিকই। কিন্তু এক আত্মবিশ্বাসেতো কাজ হবে না। ইংল্যান্ড ভালমতো জানে ৯ মার্চ ম্যাচ হেরে যাওয়া মানে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেঁজে যাওয়া। সুতরাং তারাও সেই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবে। ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলেছেন ঠিকই। কিন্তু ফিল্ডিং আশা জাগাতে পারছে না। শ্রীলঙ্কার কাছে নাস্তানুবুদ হয়েছে শুধুমাত্র বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। সহজ ক্যাচ ও স্টাম্পিং মিস হওয়াতে লঙ্কানরা বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও অনেক মিস ফিল্ডিং হয়েছে। এখন ইংল্যান্ডের সঙ্গে যদি এই ফিল্ডিং করে তাহলেতো ভয় থেকেই যাবে। নেলসনে এক ইংলিশ সাংবাদিক বললেন, ৯ মার্চের ম্যাচকে আমরা ফাইনাল হিসাবে নিচ্ছি। তার কথাতেও বুঝা যায় অ্যাডিলেডের ম্যাচ নিয়ে ইংলিশরা কতটা সিরিয়াস ও সতর্ক। আত্মবিশ্বাস নিয়ে টাইগাররা মাঠে নামবে ঠিকই। কিন্তু প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে জ্বলে উঠতে হবে। মাশরাফিদের মনে রাখতে হবে এই ম্যাচ ইংল্যান্ড জেতা মানে তাদের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। কেননা গ্রুপের শেষ ম্যাচ তাদের আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আফগানরা নিশ্চয়ই এতটা শক্তিশালী হয়ে যায়নি যে ইংল্যান্ডকে হারতে পারবে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও সুযোগ থাকবে। যদি বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে। ক্রিকেটে সবই সম্ভব কিন্তু নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে যে রূপ ধারণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে জয়ের আশা করা যায় না। আত্মবিশ্বাসী টাইগারদের তাই ইংল্যান্ডকে হারাতেই হবে।