আইরিশ ক্রিকেটার অ্যাডমুন্ড জয়েসের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা কতই না বিচিত্র। ওয়ানডে ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়েছিল এই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই, ইংল্যান্ডের হয়ে। সেই জয়েসই আয়ারল্যান্ডের রোমাঞ্চকর জয়ের নায়ক। জয়েসের সেঞ্চুরি প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়ে আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক টেলরের সেঞ্চুরিতে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৩২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ দিকে সৃষ্টি হয়েছিল নাটকীয় পরিস্থিতির।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ২৬ রান। হাতে রয়েছে দুই উইকেট। আইরিশ বোলার কেভিন ও'ব্রাইনের ৪৯তম ওভার থেকে ১৯ রান নিয়ে জয়ের দাঁড়প্রান্তে পৌঁছে যায় জিম্বাবুইয়ানরা। শেষ ওভারে প্রয়োজন মাত্র ৭ রান। ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের পথে জিম্বাবুয়ে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের টার্গেট তাড়া করে জয়ের রেকর্ড দেখার জন্য তখন তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। কিন্তু ৭ রানের সহজ লক্ষ্যটাই আর ছুঁতে পারল না জিম্বাবুয়ে। কুশাক ওভারের প্রথম বলেই চাকাভাকে বিদায় করে দেন। দ্বিতীয় বলে এক রান, তৃতীয় বলে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট মুপারিয়া সাজঘরে ফেরেন। ৫ রানের দারুণ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল আয়ারল্যান্ড।
১০৩ বলে ১১২ রানের দুরন্ত ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন জয়েস। তিনি বলেন, 'সত্যি এটা একটা অসাধারণ ম্যাচ। শেষ ওভারে অ্যালেক্স কুশাক ঠাণ্ডা মাথায় দারুণ বোলিং করেছেন বলেই আমরা জিতেছি। শেষ ওভারের বোলিং দেখে আমি মুগ্ধ। পোর্টারফিল্ডের ক্যাচটাও আমাকে অভিভূত করেছে। উইকেটটা ভালো ছিল। তবে ব্যালরিনি আমাকে দারুণ সহায়তা করেছে।'
১২১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। কিন্তু দল জিততে না পারায় হতাশ তিনি।