বড় আশা করেছিলেন কোচ ব্রেন্ডন রজার্স- আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়াম জয় করে বাড়ি ফিরবেন। জয় তো দূরে থাক, নিজেদের গা বাঁচিয়েও মাঠ ছাড়তে পারল না অলরেডরা। গতকাল এমিরেটস স্টেডিয়ামে অজিল-সানচেজদের দুরন্ত ফুটবলে উড়ে গেল লিভারপুল। গানাররা ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অলরেডদের। এ জয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। ৩১ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে আর্সেনাল। ৩০ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে লিভারপুল ৩১ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চমেই পড়ে রইল।
গতকাল এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের সামনে দুর্দান্ত সূচনা করে আর্সেনাল। শুরু থেকেই লিভারপুলের উপর হামলে পড়েন সানচেজ-অজিল-রামসিরা। বেশ কয়েকটা সুযোগ প্রথমার্ধে মিস করলেও ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্সেনাল। ৩৭ মিনিটে বেল্লেরিনের গোলে এগিয়ে যায় গানাররা। এসিস্ট করেন আরুন রামসি। এরপর ৪০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দুরন্ত এক গোল করেন জার্মান তারকা মেসুট অজিল। ৪৫ মিনিটে রামসির এসিস্টে দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন চিলিয়ান তারকা আলেঙ্সি সানচেজ। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তবে ততোক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। জয়ের পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে আর্সেনাল। ভক্তরা কেবল সময় গুনছিল আনুষ্ঠানিক বিজয়ের উদযাপনের জন্য। রেফারি টেইলর পুরো ম্যাচেই বেশ কয়েকটা ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ৭৬ মিনিটে লিভারপুলের পক্ষে যে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন তাও বিতর্কিত হয়েই থাকল। তবে হেন্ডারসন পেনাল্টি থেকে গোল করে লিভারপুলের পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে কসুর করেননি। অবশ্য ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে সানচেজের এসিস্টে গোল করে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে দেন ফরাসি তারকা গিরদ।
এ জয়ের পর এখন আর্সেনাল শিরোপার দিতে চোখ তুলে তাকানোর একটা দুঃসাহস করতেই পারে। যদিও চেলসি ২৯ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে বহুদূর এগিয়ে আছে।