উইম্বলডন ফাইনালে ২০১৩ সালে সেই যে সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচকে হারিয়েছেন এরপর আর তার বিপক্ষে জয়ের দেখা পাননি অ্যান্ডি মারে। চলতি বছরেই অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ফাইনালে দেখা হয়েছিল দুজনের। দেখা হয়েছিল ইন্ডিয়ান ওয়েলসের সেমিফাইনালেও। দুটোতেই নিঃশর্ত আত্দসমর্পণ করেছেন ব্রিটিশ তারকা অ্যান্ডি মারে। দুজনের গত ২৫টি লড়াইয়ে নোভাক জকোভিচ ১৭-৮ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ভক্তদের কাছে লড়াইটা আকর্ষণীয়ই। প্রতিবারই জকোভিচের প্রতি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অ্যান্ডি মারে। তবে সেই উইম্বলডনের পর আর জয়ের দেখা পাননি এ ব্রিটিশ তারকা। আবারও তিনি মুখোমুখি হচ্ছেন জকোভিচের। এবারে মিয়ামি ওপেনের ফাইনালে। এর আগে মিয়ামি ওপেনের ফাইনালে দুইবার মুখোমুখি হয়েছেন দুজন। দুজনেই একটি করে জয়ের দেখা পেয়েছেন। এছাড়াও কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে একবার করে মুখোমুখি হয়েছেন দুজন। দুবারই জিতেছেন নোভাক জকোভিচ।
গতকাল মিয়ামি ওপেনের সেমিফাইনালে সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ ৭-৬ (৭/৩), ৬-২ গেমে যুক্তরাষ্ট্রের জন ইজনারকে হারিয়েছেন। অন্য সেমিফাইনালে অ্যান্ডি মারে চেক প্রতিপক্ষ টমাস বারডিচকে ৬-৪, ৬-৪ গেমে উড়িয়েই দিয়েছেন। এবারের ফাইনাল জিতলে নোভাক জকোভিচ ইতিহাসের প্রথম তারকা হিসেবে তিনবার একই বছরে মিয়ামি ওপেন এবং ইন্ডিয়ান ওয়েলস শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করবেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার পর জকোভিচ বললেন, 'আমরা (জকোভিচ ও মারে) অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। এ বছরই দুইটা ম্যাচ খেলেছি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ফাইনালে কঠিন ম্যাচটা ছিল খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।' মিয়ামি ওপেনের ফাইনালেও দারুণ এক ম্যাচের আশা করছেন জকোভিচ। বলছেন, 'আমি একটা লম্বা ম্যাচের আশা করছি।