এ যেন ৯৫ লিগের পুনরাবৃত্তি। মুক্তিযোদ্ধা ২-০ গোলে ঢাকা মোহামেডানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত খেলা খেলে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। ২০ বছর আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে হেরে যায় মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুরু থেকেই চাপিয়ে খেলে মোহামেডানের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে। তারপরও গোলের দেখা মিলছিল না। অবশেষে ৪০ মিনিটে উল্লাসে মেতে উঠে মুক্তিরা। এ সময় অধিনায়ক এনামুলের নিখুঁত ক্রস থেকে বল পেয়ে জালে বল পাঠান বিপ্লব। দুই মিনিট পরই এনামূল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। কামারার কাছ থেকে বল পেয়ে জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি এনামুল। গত দুই মৌসুমে নিয়মিতভাবে মাঠে দেখা না গেলেও চলতি মৌসুমে এনামুল দারুণ খেলছেন। ফেডারেশন কাপ ও লিগে নিয়মিত গোল পাচ্ছেন তিনি।
প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে যাওয়াতে অনেকের ধারণা ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডান মরিয়া হয়ে লড়তে থাকে। আক্রমণের পর আক্রমণ। মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে তুলে। বিশেষ করে বান্দুরা ও সবুজ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। আক্রমণ সামাল দিতে ফাউলের আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধা। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান ইসমাইল বান্দুরা। এরপরই পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় মোহামেডান। ৮০ মিনিটে সবুজ গোল করলে ম্যাচে সমতা ফিরে আসে। ২ মিনিট পর বান্দুরা আবারও জালে বল পাঠান। এবারও পেনাল্টি থেকে। শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা আক্রমণ চালিয়ে ছিল ঠিকই। কাজ হয়নি, মোহামডানই ম্যাচ শেষে বিজয়ের উৎসবে মেতে উঠে। এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-০ গোলে রহমতগঞ্জকে পরাজিত করেছে। ১৮ মিনিটে সুমন বিজয়ী দলের পক্ষে গোলটি করেন।