শিরোপা রেসে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। পরশু রাতে আলমেইরাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিঃশ্বাস সমান দূরত্বে দাঁড়িয়ে বার্সেলোনা থেকে। রিয়ালের ৮২ পয়েন্টের বিপক্ষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮৪। শিরোপা রেসে টিকে থাকার পাশাপাশি জয়ও পাচ্ছে দল। কিন্তু মন ভালো নেই বিশ্বসেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কেন? মন ভালো নেই সিয়ার্স সেভেনের গোল না পাওয়ায়। রিয়ালের গোল মেশিন রোনালদো তিন ম্যাচ ধরে জালের খোঁজ পাচ্ছেন না। মানে গত তিন ম্যাচে কোনো গোল পাননি এই পর্তুগিজ উইঙ্গার। তারপরও এই মৌসুমে ৪৮ ম্যাচে ৫০ গোল করে রয়েছেন সবার উপরে। ৪৯ গোল করে তার পেছনে দৌড়াচ্ছেন বার্সার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।
ঘরের মাঠে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে পরশু রাতে রিয়াল হারিয়েছে আলমেইরাকে। ম্যাচে গোল করার ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছিল রোনালদোর। কিন্তু করতে পারেননি বলে হতাশ। এমনকি সর্তীথরা যখন গোল উৎসব করেন, তখন তাদের সঙ্গে যোগ দেননি বলে সমালোচিত হচ্ছেন। ৪৪ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে নেন দলের কলাম্বিয়ান স্ট্রাইকার জেমস রদ্রিগেজ। টনি ক্রুজের বাড়ানো ক্রস ক্লিয়ার করেন আলমেইরার রক্ষণভাগের এক ফুটবলার। কিন্তু বলটি ফাঁকায় দাঁড়ানো রদ্রিগেজ বাঁ পায়ে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে আত্দঘাতী গোলে দ্বিগুণ হয় গোলসংখ্যা। ৪৯ মিনিটে মাউরো দস স্যান্টোসের আত্দঘাতী গোলের সময় ফাঁকায় দাঁড়ান ছিলেন রোনালদো। কিন্তু বল তার কাছে আসার আগেই স্যান্টোসের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায় বল। গোল না পেয়ে তখন হতাশ প্রকাশ করেন প্রথমবার। দলের তৃতীয় গোলের সময় পুরোপুরি ব্যক্ত করেন হতাশা। আলভারো আরবেলোয়া যখন গোলটি করেন, তখন তার কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু তাকে বল না দিয়ে নিজেই গোল করেন আরবেলোয়া (৩-০)। ২০০৮ সালের পর লা লিগায় এটাই প্রথম গোল আরবেলোয়ার। গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেন আরবেলোয়া। রোনালদো জালে জড়িয়ে থাকা বলে জোরে লাথি মেরে হতাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়াও মাথা নাড়েন এবং দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। টানা তিন ম্যাচে গোল না পেলেও মৌসুম শুরু করেছিলেন দুর্দান্তভাবে। নতুন বছর শুরু হতেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। তারপরও এ মাসের শুরুতে গ্রেনাডার জালে একাই ৫ গোল করেন।