এশিয়ানরা ফিফা বিশ্বকাপ জিতবে, বিষয়টা কয়েক বছর আগেও প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিল। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইতালি কিংবা ফ্রান্সের মতো দলের সঙ্গে এক আধটা ম্যাচ খেলাই যাদের সৌভাগ্য মনে করে তাদের পক্ষে বিশ্বকাপ জয়ের কল্পনা একটু বেশিই মনে হতো। তবে এই চিন্তায় বিরাট একটা পরিবর্তন আনে জাপানি মেয়েরা। ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ২০১১'র ফাইনালে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে কোনো ফিফা টুর্নামেন্টে অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব। এরপর জাপানি মেয়েরাও নাম লেখায় ফুটবলের পরাশক্তির তালিকায়। গত চার বছরে অনেক সাফল্যগাথা রয়েছে তাদের। এই ধারাবাহিকতা থাকল ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের চলমান আসরেও। গতকাল সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে জাপানি মেয়েরা টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেই যুক্তরাষ্ট্র। যাদেরকে চার বছর আগে জার্মানির মাটিতে হারিয়েছিল জাপান। ইংলিশ মেয়েদের আফসোস নিশ্চয়ই এখনো শেষ হয়নি। কখনো শেষ হবেও না। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। সেই সুযোগ হারিয়ে গেল নিজেদেরই ভুলে! ম্যাচটা নির্ধারিত নব্বই মিনিটে ১-১ ড্র ছিল। অতিরিক্ত কয়েক মিনিটও হয়তো কেটে যেত। কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্ডার লরা ব্যাসেটই দলকে ডুবালেন। শেষ মুহূর্তে তার আত্দঘাতী গোলই জাপানকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে তুলে দেয়। এর আগে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জাপানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক আয়া মিয়ামা। তবে ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংলিশদের সমতায় ফেরান ফারা উইলিয়ামস। সেই সমতা ছিল নব্বই মিনিট পর্যন্ত। এরপরই জাপানি মেয়েদের অব্যাহত আক্রমণের মুখে ভেঙে যায় ব্রিটিশদের ডিফেন্স লাইন। আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেল জাপান।